আমি অজিতেশ,
আমি বলছি,
আমি অজিতেশ বলছি,
আমি রবীন্দ্রনাথের চেয়েও বড়,
হোঃ হোঃ করে হাসবেন না, বা টিটকিরি দেবেন না।


ধুঁয়োনো নড়বড়ে চেয়ারে বসে,
আমি যখন আগামী প্রজন্মের মুখে ক্ষুদমুঠি তুলে দিই,
তখন আমার দুহাত ভরে ওঠে রক্তাক্ত কিছু কবিতায়,
রবীন্দ্রনাথ পারতো?


সাতসাতখানা ঘোড়াকে পিছনে ফেলে
দুরন্ত অশ্ববেগে আমি ছুটে চলেছি যখন,
যখন আমার মায়ের সিঁথির সিঁদুরের মত,
আমার কলমের ঠোঁট দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে,--
টসটসে গরম রক্তের ফোঁটা,
আমার খাতা ভরে ওঠে তখন, ঐরকমেরই কিছু ---
প্রজন্মের গল্পে --
রবীন্দ্রনাথ পারতো?


দুঃখিত,
পদ্মার বুকে নিশ্চিন্তির বোটে চেপে বসার মত,
আলস্যের ডিঙি ভাসিয়ে দেবার মত।
আমার অবসর নেই।


প্রহর প্রহর প্রহর পেরিয়ে যায়,
আমি কারখানার কর্মী হয়ে –
মাটিকাটা মজদুর হয়ে –
ইঁটভাটার মজুর হয়ে –
মেথরপট্টির শরিক হয়ে –
আরও আরও অনেককিছু হয়ে –
আমি আমির উপর স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করে চলেছি –
রবীন্দ্রনাথ পারতো?


আমি অজিতেশ,
আমি তাই বলছি,
আমি রবীন্দ্রনাথের  চেয়েও বড়।