“কাদের কুলের বউ গো তুমি কাদের কুলের বউ
যমুনা জল আনতে গেছো সঙ্গে তো নেই কেউ”

ধুৎ, কুলের সে বউ, ফুলের সে মউ, কবেই ঘর দিয়াছে ছাড়ি,
জল আনতে যাবার তরে, উদাস মাঠের উধাও চরে, গেছেই বয়ে ভারি ।
আনতে বলা অসফল, তাওগো আবার আনতে জল, যমুনা যেতে হবে?
গঙ্গা আছে ঘরের পাশে, দুচোখেতে স্বপ্ন ভাসে, সে কি ঘরে রবে?
সেই এক চেনা সুরে নিশ্চিন্ত অবগাহন,
পার্মুটেশন আর কম্বিনেশন।
  
               ****

“শুকনো পাতায় নুপুর পায়ে নাচিছে ঘুর্নী বায়
জলতরঙ্গে ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ সে তুলে যায়”

ধুৎ, নুপুর পায়ে নাচবে যে বায়, আসার পথে কি অন্তরায়, অকাল-শ্রাবন ডাকে-
তবুও যদি নাচতে চায়, আপনমনে ঘুর্নী বায়, দেখার কি আর কেউ অপেক্ষা রাখে?
পুকুর কোথায় তুলবে ঢেউ? বাঘের ভয়ে ডাকছে ফেউ, বুজিয়ে উঠছে গগন-ছোঁয়া বাড়ি
জলতরঙ্গ ভগ্নপ্রায়, নুপুর-পায়ে জং লাগায়, শপিংমল উঠছে আকাশ ছাড়ি।
সেই এক চেনা সুরে নিশ্চিন্ত অবগাহন,
পার্মুটেশন আর কম্বিনেশন।

                ****

“গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা
আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা”

ধুৎ, এমন যদি সত্যি না হয়, আশায় কাঁপে বুকে যে ভয়, দু-দেশ এক হয়!
কলকাতা আর ঢাকা, মধ্যে যে পথ বাঁকা, মিললে যে বেশ হয়।
দুই চোখে দুই জলের ধারা, রংপুর থেকে জলদাপাড়া, সীমানাহীন একটিই হোত দেশ।
মীরপুর থেকে মালদা ঘুড়ে, বরিশাল থেকে সুরু করে, হুগলী-তে হোত শেষ!
সেই এক চেনা সুরে কি নিশ্চিন্ত অবগাহন,
পার্মুটেশন অথবা কম্বিনেশন।






(এগিয়ে চলেছি.......................................................)