সকাল-সন্ধ্যে আমি দেখি, স্বপ্ন নাকি সত্যি সেকি, নানারকম মিষ্টি ।
করছি সুখে তাদের আহার, ঘনঘন সাথে তাহার, হচ্ছে শুভদৃস্টি ।।
তাদের রাজা রসগোল্লা, গপ গপা গপ মুখে তোল্লা, আহা কিযে লাগে ।
তাদের রানী লেডিকেনী, পান্তুয়া-টাও সেই তিনি, কি শিহরন জাগে ।।
দরবেশ-টাও লাগে খাসা, শকুনীও খেলতে পাশা, নির্ঘাত ভুলে যেত ।
গোল গোল ঐ লাড্ডূ পেলে, রাজ্যটাকে ভাসিয়ে জলে, চোখটি বুজে খেত ।।
আরো আছে মিহিদানা, স্বাদটি যেন মিছরি-পানা, চামচে তুলে খাই ।
তারই সাথে সীতাভোগ, বাধাই যতো কঠিন রোগ, ভুলতে নাহি চাই ।।
অমৃতি-ভাজা দেশি ঘিয়ে, একটুখানি দম নিয়ে, জিলিপির দিকে চাই ।
আর জলভরা সন্দেশ, রজতশুভ্র বেশ, খাই যে কটাই পাই ।।
গোলাপজাম আর সরপুরিয়া, কারে খাই কারে থুইয়া, ভারি খুশি হই ।
দানাদার আর ছানার জিলিপি, হায়রে বিধিলিপি, পেটে সবি সই ।।
চিত্রকূট আর ক্ষীরের শিঙ্গাড়া, যায়কি কাউকে ছাড়া? কি মনোরম!
বল কি মনোহরা? মন হরণ করা। ছাড়ছি না সাদা চমচম ।।
আর লাল লাল ল্যাংচা, যত মুখ ভেংচা, মুখে দিলে বুজে আসে চোখ ।
সরভাজা, নিখুঁতি, আহা যেন ভবভুতি! খেতে যেন চেপে যায় রোখ ।।
একপ্লেট মৌচাক, নিমেষে চিচিংফাঁক, দিচ্ছি না এতটুকু ঢপ ।
মাতৃভোগই রাজার রাজা, একটুখানি ঘিয়ে ভাজা, এবং ক্ষীরের চপ ।।
আরো কত র’ল বাকি, আরো কত ঝাঁকি ঝাঁকি, না খেলেই শতশত ধিক ।
আমরা যে বাঙ্গালী, স্বাদের কাঙ্গালী, বিশেষত আমি যে মিষ্টি-প্রেমিক ।।