(কৃতজ্ঞতা : শ্রীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের ‘বাবু’ প্রবন্ধের ছায়াবলম্বনে)


(দৃঢ়াস্য)
হে বিপ্রকুলদ্ভব,
আপনি কহিলেন -
যে কলিযুগে নব্যবাবু নামক এক প্রকার মনুষ্যরা -  
পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হইবেন।
তাঁহারা কী প্রকার মনুষ্য হইবেন
এবং
পৃথিবীতে আবির্ভূত হইয়া কি কার্য করিবেন,
তাহা শুনিতে জন্মিতেছে বড়ই কৌতুহল!
আপনি অনুগ্রহ করিয়া সবিস্তারে বর্নন করুন।


(অগ্নিবেশ)
হে বৎসে,
আমি সেই --
স্বল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী, (জনান্তিকে – আহা মরিমরি)
কুটিল চরিত্র, (জনান্তিকে – কি বিচিত্র কি বিচিত্র)
বিজাতীয় ভাষাপ্রিয় (জনান্তিকে – ধিক্কার দিও)
নব্যবাবুদিগের চরিত্র কীর্তিত করিতেছি,
আপনি শ্রবন করুন।


(অগ্নিবেশ)
হে তপনতনয়,
যাঁহারা স্বল্পবসনাবৃত, (জনান্তিকে – ঠান্ডাভাতে ঘৃত)
কর্ন কুন্তলাবৃত, (জনান্তিকে – জ্যান্ত কিবা মৃত)
ছুরিকাহ্স্ত, (জনান্তিকে – শারিরীক ভাবে ধ্বস্ত)

ছিন্নপাদুক (জনান্তিকে – হুহুঃ কূপমণ্ডূক)
তাঁহারাই নব্যবাবু।


(দৃঢ়াস্য)
সাধু! সাধু!
অতঃপর? অতঃপর?