ভাবো,
কেমন হয় আমি যদি এক্সিডেন্টে পরি
বেশ একটা গুছিয়ে দুর্ঘটনা...
শাড়ি-শায়া জড়িয়ে মড়িয়ে,
আমার নগ্ন হাঁটু অনেক পথ চলতি মানুষের....
আমার কি জ্ঞান আছে? আমি তখন ...
পা ভেঙ্গে ‘দ’।

ভাবো,
আমি হাসপাতালে শুয়ে,
নরম বিছানা
(আমার স্বামী বেশ মালদার...ভালো কেবিনেই রাখবে)
(আর বিছানাটাও ও খুব ভাল বোঝে)
আর ঘরটাও বেশ এসি.... ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল...
পাশে ফুলের টবে টাটকা কিছু রজনীগন্ধা,  
বিকেলে কিছু মানুষ, নিতান্ত সুখী হলেও,
দুখী দুখী মুখ করে এসে দাঁড়াবে পাশে,
‘ভালো আছ?’
রাগে গা জ্বলে যায়! হাসপাতালে কেউ ভাল থাকে? অথবা
ভাল থাকলে কেউ হাসপাতালে আসে?

ভাবো,
সকাল থেকে স্বামী,ছেলে,মেয়ে,কাজেরলোক,দুধওয়ালা,কাগজওয়ালা...
থেকে শুরু করে রাজ্যির ঝক্কি!
মাথার ঘাম পায়ে তো পড়ছেই...রাতেও নিস্তার নেই,
বিছানার চাদর চটকে মটকে একশা!
এই বেশ ভালো আছি,
খাচ্ছি, দাচ্ছি, কবিতা লিখছি...আজ আবার ১৩২ তম।
বিকেলে ৩২ পাটি সাজিয়ে...
আবার নিশ্চিন্তি!

ভাবো,
একটু পায়ে টনটন করবে
গাঁটে গাঁটে একটু কনকনানি
আর নিয়মিত বিরামে কালো-লাল ওষুধের দাবড়ানি!
ওসব কোন ব্যাপার নয়...ব্যাপার হল...
এখানে সবই প্রায় সেবিকা...
একটাও হ্যান্ডসাম সেবক নেই...
যে কটা আছে উচ্চিংড়ে গোছের....
ডাক্তার? সে আশায় বালি...সবই প্রায় বুড়োটে...
এটাই যা দুঃখ।