তোর অদ্ভুতুড়ে কান্ড যত, গাছের মাথায় চোখটি পাকাস
বেমক্কা সব কান্ড ঘটাস, লুকিয়ে রাখিস হরতনী তাস
ইয়া লম্বা হাতটি দিয়ে, বেগুনী খাস কুচকুচে লাল
কালচে কুলচে জিবটি দিয়ে, চাটিস দিমাগ সন্ধ্যে সকাল
কুট্টি কুট্টি ঝুলপরি কান, দুল কিনেছিস কোন দোকানে?  
উদাস হলেই হাসতে হবে? চাইতে হবে ঘুটের পানে?
একটুখানি জিরিয়ে নিতে, গাছতলাতে বসেছি যেই
টিঙটিঙে ঠ্যাং দুলদুলিয়ে, নাচতে হবে তাধেই তাধেই!
আচ্ছা আপদ কি জ্বালাতন, একটুখানি বিরাম দিবি?
একটু আমায় ঘুমোতে দে, তুইও না হয় জিরিয়ে নিবি।
তোর যত সব নাচনকোঁদন, আমার সঙ্গে কেনো রে বল
ওমা ওমা বকিনি রে, দেখো দেখো চোখ ভরা জল!
চোখই কোথায়! উধাও কবেই অ্যাক্সিডেন্টে মরলি যবে
হুম তা আজ তো নয়, বছর তিন-চারশ হবে!  
তবে তুই কাজের বটে, কাজ করে দিস যখন তখন
আমার তো আর কেউ নেই রে, নীলমণি এক তুই সবেধন
এই তো সেদিন খাটনি খেটে, শরীর যখন আর না দিল
রেঁধে বেড়ে বেশ খাওয়ালি, শুধু মাছটা একটু গন্ধ ছিল
আমার বাড়ি কেউ আসেনা, আমায় নাকি ভুতে পেল
এই তো সেদিন, রাম বাহাদুর, তোকে দেখে ভিরমি খেল
তা’ ভালই আছি, চোর-ডাকাতে, ইদিক পানে বাড়ায়না পা
তাকালেও বা, তোর লাথিতে, পড়বে উড়ে সোজা ধাপা।
এতই যখন অগাধ গুন, থাক না বাপু চুপটি করি
চেঁচাস কেন? তোর জ্বালাতে সাধ্য কি আর পদ্য পড়ি
তার চেয়ে আয়, এইখানে বোস, তোর গপ্পই লিখব এবার
থাকব তোরই সঙ্গে আমি, তুই যে আমার ভৌত neighbour।