সভ্যতার লালিত্য শেষ ঝরিয়েছিল ময়ূরপঙ্খী নাও,
যেদিন বাৎসরিক বর্ষাকাল পেরিয়ে,
ঘাটে বাঁধা পড়ে সম্পূর্ণ অনাটকীয়তায়
আর
টুকটুকে লাল লজ্জাবনতা ভাবি উত্তরাধিকার,
প্রসব-নিমিত্ত সেজ শরিকের ছোট বউ
দুধে আলতায় পা সেঁকে দরদালানে প্রথম চুম্বনের রাত।
সেদিনও আকাশ ভাসা সুঠাম পূর্ণিমা,
অবধারিত পূর্ণ গোলাকার চাঁদের আলোতে –
ঈষৎ উন্মক্ত বাতায়ন পথে
অকাতর ঢেলেছে নান্দনিক শৃম্ভন।
কিছু উত্তপ্ত মুহুর্ত,
আরো কিছু এলোমেলো শ্বাসক্ষেপ চোখ চেয়ে,
দুধ সাদা চাদরে লেপটে ছিল গহীন ভাবে।
সাক্ষী থাকুক সুখ ডোবা কান্নার মুহুর্ত।
আজো কাঁদে, তুমি শুনতে পাও না এই যা!
কাঁদে আজও আমার সাধের চকমেলান বাড়ী।