আবার এক বৈচিত্রহীন সন্ধ্যে সবে নেমে আসব আসব করে -
আর এক চিলতে রুগ্ন খুপরি ঘরের একহারা এক খড়ি ওঠা মুখ -
পমেটম, শ্রীহীন শরীর, সদ্য স্নান সারা শরীর,  
সস্তা পাউডারের ছোঁয়া পায়।
অগুরুর গন্ধ জ্বলবে বহুক্ষণ এ ঘরে,
মানুষটা ধীরে ধীরে রাস্তায় পছন্দসই পজিশন বেছে নেয়।
এবার চলবে তার নারীত্বের দর কষাকষি
আর আমি আধো ঘুমে নেতিয়ে পড়ার অপেক্ষায় বারান্দায়।
ঘরে আজ আর এক নতুন কাকু
কে কবে বলেছিল – সতীত্ব একটা কুসংস্কার
নারীত্বের সম্মান,সম্ভ্রম, লজ্জা.........।  
ততক্ষণে কুঁচকানো শীৎকারে জবজবে চাদরের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
ভোররাতে ক’টি টাকা - তারাও খুঁজে নেয় আঁচলের খুঁট।
আমার স্কুল ফি, রোজকার ডালভাত গেলা আর পাউডারের দামে নিসিক্ত।


তবু তাকে তো কই আজো ঘৃণা করতে শিখলাম না।
পারলাম না তো তার আঁচড় কাটা নরম স্নিগ্ধ বুকে মুখ গুজে দেওয়ার লোভটুকু সামলাতে।


হাজার হোক ............ মা।