আছিলো বটে আমাগো বাপ পিতে’ম ওপার বাংলার জমিন্দার, হেই ঘোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, দাসদাসী, চাকর বাকর; হাইদের রোজ রোজ জন কুড়ির পাত পড়তো ঢালাও বারান্দায়.........এইভাবে কবিতা লেখা রয়...... লেখা রয় না পেছনে পেছনে হেঁটে আসা অসহায় মুখের আকুতি... মাথায় হাতে শেষ সম্বল, হাঁড়িকুড়ি যা কিছু হাতের কাছে, রাতের আঁধার খুব সাহায্য করে অকারণ মুখ লুকোতে। রয়ে গেল চাঁদনী রাতে নবান্নের বাসি উৎসব আর মাটির দাওয়ায় মুড়ি ছোলা ভাজা...সে বড় কাব্যময় ধরিত্রীর গল্প। বাস্তব হয়ে ওঠা রেলস্টেশনে নিরাশ্রয় নির্ঘুম রাত। শরণার্থী শিবিরে পালিত বর্ষশেষ বিদায় বেলা। হাহাকার পথ কেটে নেয় নিজস্ব পথ পরিক্রমা, বন্ধু আর মিত্র শব্দদুটি ছুরিকাঘাতে ছিন্নভিন্ন হতে হতে আদিগন্ত অনুর্বর মাঠে নুয়ে পড়া ধানের শিষের স্বপ্নের মত কিছু শাপগ্রস্থ কবিতা প্রসব করতে থাকে। বুঝলে মেয়ে, এভাবে কবিতা হয় আর এভাবেই কবিতার বুকে রক্ত ঝরে ঝরে এক একটি অক্ষরের জন্ম দেয়। নো-ম্যান্সল্যান্ডের দুপাশে মাইলের পর মাইল ধাবিত হয় কাঁটাতার - প্রথিত করে দেশভাগের স্মৃতি। শুনলে কি মেয়ে?