এই লিখব লিখব করছি, তবু লিখতে পারছি কই
কাব্যবৃক্ষে উঠে গেছি, হচ্ছে গায়েব মই
শব্দ পালায় ইদিক উদিক, হচ্ছি হতোদ্যম
একটি করে পঙক্তি লিখি, শব্দ যেন যম
কি নিয়ে আজ লিখবো ভেবেই, চোখে আঁধার নামে
শব্দ খুঁজে বেড়াতে হয়, ডাইনে কিংবা বামে
যা লিখতে যাই, দেখি ভেবে, আগের থেকেই লেখা
লিখতে লিখতে কান্না নামে, শব্দ বক্ররেখা
আকাশ, বাতাস, গাছগাছালি, ফুল, ফল বা মিষ্টি
কেউ না কেউ তো লিখেই গেছে, চোখে হতাশ দৃষ্টি
রাজনীতি বা খেলাধুলো, উপর পানে ছুঁড়ছে ধুলো
আলু, শশা, ক্ষীরকদম্ব, বেগুন, আপেল, মুলো
সাগর নিয়েও অঢেল লেখা, পাতার পরে পাতা
বেশ্যা, বেবুন, ষাঁড়, পতঙ্গ – যতো ছাতার মাথা
চাঁদ, তারা বা ভীন গ্রহের প্রাণী, দিচ্ছে সবাই হানা
পদ্ম কিংবা জলবসন্ত কিংবা কচুরিপানা
সবই যদি লেখা রবে, আমি লিখব কি
পাশের বাড়ির বৌদি, নাকি নিদেন পক্ষে ঝি
উষ্ণ দাড়ি, নগ্ন শাড়ি, কাকভেজা এক টাক
বাকি কি আর আছে কিছু, দিমাগ ফর্দাফাঁক
এবার ভাবছি লিখব বসে উনুন নিয়ে বই
তবু লিখব লিখব করছি, আমি লিখতে পারছি কই



(আজ প্রজাতন্ত্র দিবস, আমার ২২৫ তম কবিতা আর আমাদের ১০ম বিবাহবর্ষ, অতএব অভিনন্দন জানাতে একদম ভুলো না)