কবিতার হাত ধরে বেড়িয়ে ছিলাম রাস্তায়
ভীষণ জলতেষ্টা পেলে ধার করে খাইয়েছি ঠান্ডা পানীয়
জল খেলে ওর আবার শব্দ হারায়
মুখ মুছে আমায় বলল চল খুঁজি
আজকের মতো
তোমার দো-নলা বন্দুক আর পাখির রক্ত।
এক জনমানবহীন শহরে
এক গাংচিলে ছাওয়া বন্দরে
এক ছমছমে শিঙ্গাড়ার দোকানে
এক মরা চাষির রিক্ত ধানের গোলায়
এক প্রখর রৌদ্রে মরে যাওয়া দুটো ঠোঁটের ঠিকানায়  
চল খুঁজি - তোমার দো-নলা বন্দুক আর ......


আমি বলি আগে তো পথ খুঁজতে হবে
খুঁজে নিতে দাও মাটির রাস্তা, ন্যাতানো ফুটপাথ
তবে একটু নির্জন পথে চলো
নাগরিক রাস্তায় আজ বড় টায়ার পুড়ছে!

কবিতা গোঁজ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে
আমার হাতটা না ছেড়েই বলে -
পথ খোঁজা শেষ হলে দেখবে পিঠ তোমার ঠেকেছে দেওয়ালে।