চরিত্রসমূহ -
ভাস্করাচার্য  - একজন অন্যতম জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ (এঁর বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য শেষ পর্বে)
লীলাবতী -  ভাস্করাচার্যের একমাত্র কন্যা (বিশদ পরিচয় শেষ পর্বে)
মহেন্দ্রনাথ -  লীলাবতীর পতি
অহিন্দ্রনাথ -  মহেন্দ্রনাথের পিতা


স্থান – ভারতবর্ষের দাক্ষিণাত্যের বিদার গ্রাম
সময়কাল - ১১৬৭ খ্রিষ্টাব্দ (আনুমানিক)


[পটভুমিকা]

ঊষা ৫ ঘটিকা। অতিপ্রভাতকালীন পক্ষীদল আপন আপন কন্ঠে সাধিতেছে সঙ্গীত বিন্যাস, পুর্বগগনের লালিমাভা ঈষৎ ঈষৎ স্পর্শ করিবারে প্রচেস্ট সমগ্র দাক্ষিনাত্য। দু-চারটি বায়স সদ্য উদ্ভাসিত নব বালার্ক দর্শণপুর্বক আপন সুখে উড্ডিন। তাহার সহিত কাকাক্ষীগোলকন্যায় প্রাঙ্গণে বিবিধ উন্মিসিত পুষ্পরাজি আপন বিবশ গন্ধ অংহতিপুর্বক বায়ু সুবাসিত করিবারে প্রয়াসী। প্রভাত-আরতি তৎসহ ঋতিংকঙ্কর ওঙ্কার-ঘণ্টাধ্বনি মন্দ্রিত হইতেছে মন্দির হইতে মন্দির। পার্শবর্তি গ্রামে বানিজ্যাশে গমনোদ্দ্যত গন্ধিক চাক্রিকদল। একটি নিতান্ত সাধারন কেদারায় উপবিস্ট ভাস্করাচার্য। তাঁহার গৌরবর্ন গাত্রে শোভা পাইতেছে শুভ্র উপবিত। পার্শবর্তি কাষ্ঠনির্মিত চতুষ্কোণ চৌকিতে একখানি বৃহদাকার স্বীয়রচিত অক্ষয্য পুস্তক উন্মুক্ত। তাহার উপরিভাগে একখানি পালকের কলম বিদ্যমান। তাঁহার নির্নিমেশ অক্ষনভেদী দৃষ্টি স্থিরবদ্ধ মহামহিম পিতা চিরারাধ্য মহেশ দৈবজ্ঞের তৈলচিত্রের প্রতি।



(আজ পবিত্র সরস্বতীপুজা। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ১৬ কিস্তিতে সমাপ্য 'দৈবলগ্ন'   নামক  একখানি  কাব্যনাট্য। যথাবিহিত ধারাবাহিকভাবে পড়ার আমন্ত্রণ করলাম, জানি প্রয়োজন নেই)