[প্রথম দৃশ্যারম্ভ]


ভাস্করাচার্যঃ  আমি মহেশ দৈবজ্ঞের পুত্র ভাস্করাচার্য। ষষ্ঠশতকাল অতিক্রমান্তে অতীব ক্লান্তিবোধ করিতেছি। এক সুদীর্ঘ সৌগন্ধিক কাল অতিবাহিত হইয়াছে এ ধরিত্রী ‘পরে। অবশেষে বহুল পরিশ্রমের ফসল মম প্রাঙ্গানিভুত করিতে সক্ষম হইতেছি।  আমার বিখ্যাত পুস্তক “সিদ্ধান্ত শিরোমণি” প্রকাশিতব্য। যাহার কিয়ৎ সুত্রশ্লোক-প্রকাশে আমি ইতিমধ্যেই সুখ্যাতির উচ্চশৃঙ্গে আসীন। আমার সুদীর্ঘ গবেষণালব্ধ আহরিত জ্ঞান মুঞ্জরিত হইতেছে চর্মচক্ষের সম্মুখে। অপিচ, হে পিতা, মানসিক আধারে বড়ই ক্লিষ্ট বোধ করিতেছি আমি। আমার এ বৃদ্ধ বয়সেও আমি আমার একমাত্র কন্যা লীলাবতীকে বিবাহসুত্রে আবদ্ধ করিতে পারিলাম না! আমি জানি না, আমি জানি না তাঁহার বিবাহ সম্পন্ন হইবে কিনা! কেমন মিটিবে মম পরিপৃচ্ছা হে পিতা! কেমনে হইবে খরশ্রোতা, কিক্ষনে হইবে বারিপুর্ন তাঁহার পরিবাহক্ষেত্র?  


লীলাবতীঃ (অন্দর হইতে) পিতা।


ভাস্করাচার্যঃ (ঈষৎ চমকিত) কে? ও! মা লীলা! অন্দরে প্রবেশ কর।


লীলাবতীঃ পিতা। আপনি এত ক্লেশ অকাতরে বহন করিতেছেন কি হেতু পিতা? এই চিরকালার্জিত সুবৃহৎ পুস্তক প্রণয়নহেতু অবিরাম জ্ঞান-নির্মঞ্ছন কি আপনার শারীরিক কষ্টের কারন হইবে না? সে বিষয়টি কি ইতিমধ্যেই আপনার পরিগত হইতেছে না!