ভাস্করাচার্যঃ নহে নহে এ আমার কোন কষ্ট নহে। মা, তোমার মুখদর্শনে আমি চিদানন্দ লাভ করি, ইহা তুমি কি অবগত আছো? (ঈষৎ হাস্য) তোমাকে দেখিলেই আমি সর্ব দুঃখ সর্ব ক্লেশ বিস্মৃত হয় মা আমার! আমার চিত্তোৎকার্স ঘটে। কিন্তু, আমি এক এবং একমাত্র চিন্তানলে দগ্ধে দগ্ধে তূষ্ণীম্ভুত হইবার উপক্রম ঘটিতেছে। মা, আমি বৃদ্ধ হইতে চলিয়াছি, এক্ষনে তোমার...


লীলাবতীঃ থাক পিতা থাক, আমি ইতিমধ্যে অবগত আছি আপনি কি বিষয়ে বাক্যস্ফুট করিবেন, কি আপনার বিবক্ষিত দিবস-শর্বরিব্যাপি মনোভিলাস। প্রয়োজন নাই, নাহি প্রয়োজন মোর বিবাহে, আপনি ব্যতিত আমি জীবন ধারন করিতে পারিব না পিতা।


ভাস্করাচার্যঃ না মা! তাহা আদপে হয় কি? আমি তোমার বিবাহের আয়োজন তরে তৎপর হইতেছি, যত শীঘ্রসম্ভব।


লীলাবতীঃ পিতা আপনার প্রাতরাশের আয়োজন করা হইয়াছে। অন্তঃপুরে আগমন করুন।   [প্রস্থান]


ভাস্করাচার্যঃ নাহ! (দীর্ঘ নিঃস্বাসত্যাগ) আমাকে বিবাহের আয়োজন করিতেই হইবে। কল্যই সন্দর্শণ-সন্দেশ প্রেরণ করিব অহিন্দ্রনাথকে। তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ অভিলষনীয়। তাঁহার পুত্রকটি অনুপম, দেবসাযুজ্য। আমি উঁহার সাথেই বিবাহ দিব আমার লীলামায়ের। অতঃপর আমার বিশ্রাম। হে দেবাত্মাগণ, আমায় আশীর্বাদ করুন। [প্রস্থান]


[প্রথম দৃশ্যের সমাপ্তি]



(ভীষণ ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কারো পাতায় যেতে পারছি না। এমনকি তোমাদের সুচিন্তিত মতামতেরও উত্তর দিতে পারছিনা। সবিশেষ দুঃখ জানালেও জানি কাজের কাজ কিছু হয় না। তাই কাল থেকে নিয়মিত হব)