আগে যা হয়েছেঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর একজন অন্যতম ভারতীয় জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্য (বলা হয় নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কারের অন্তত ৫০০ বছর আগেই ভাস্করাচার্য তা ব্যাখ্যা করেছেন বৈদিক শাস্ত্র থেকে) বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গণনা করে জানতে পারলেন তাঁর একমাত্র কন্যা লীলাবতীর বিয়ে দিলে সে অতি অল্পকালের মধ্যে পতিহারা হবে। তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর কন্যার হবু শ্বশুরকে। এরপর.....................      


অহিন্দ্রনাথঃ (নিদারুন চমকিত) সে কি! না! না! আপনার কোনরূপ ভ্রম হইতেছে জ্যোতিষশ্রেষ্ঠ! আপনি পুনরায় গননা করুন।


ভাস্করাচার্যঃ আমি জ্যোতির্বিদ ভাস্করাচার্য। সে কদাপি গননায় কোনবিধ ভ্রম করে না। আমি যা করিয়াছি তদ্রুপ গননা রুঢ় সত্য।


অহিন্দ্রনাথঃ (গমনোদ্দোত) তাহা হইলে আমি......


ভাস্করাচার্যঃ তিষ্ঠ! আপনি সত্বর গমনেচ্ছু হইবেন না! আমি আপনার পুত্রের সহিত আমার কন্যার বিবাহ দিব।


অহিন্দ্রনাথঃ সে কি! এরূপ ভীতিকর অথচ ভয়ংকর তথ্য অবগত হইয়াও!!!


ভাস্করাচার্যঃ (দক্ষিন হস্ত প্রসারিত করিলেন) আপনি ভীত হবেন না। তৎবিধি আমি খণ্ডন করিব।


অহিন্দ্রনাথঃ (দ্বিগুন চমকিত হইলেন) বিধির নিয়ম খণ্ডন করিবেন? আপনি?


ভাস্করাচার্যঃ ভদ্র। আপনি বিস্মৃত হইবেন না আমি ভাস্করাচার্য। আপনি নিশ্চিন্তে গৃহে গমন করুন। আমি স্বীয় গণনাপুর্বক বিবাহের শুভক্ষণ স্থির করিবার ব্যবস্থা করিতেছি। এই শুভক্ষণে বিবাহ হইলেই সেই নিয়ম খন্ডিত হইবে। আর আপনার পুত্রটিকে আমার নিকট প্রেরন করিবেন। যাহাদের বিবাহ তাহাদের মধ্যে কিঞ্চিৎ বোঝাপড়ার প্রয়োজন রহিয়াছে বলিয়া আমি মনে করি।