আগে যা হয়েছেঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর একজন অন্যতম ভারতীয় জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্য বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গণনা করে জানতে পারলেন তাঁর একমাত্র কন্যা লীলাবতীর বিয়ে দিলে সে অতি অল্পকালের মধ্যে পতিহারা হবে। তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর কন্যার হবু শ্বশুরকে। অহিন্দ্রনাথের প্রবল আপত্তি সত্বেও ভাস্করাচার্য বিধির নিয়ম খণ্ডন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।এরপর.....................      



অহিন্দ্রনাথঃ  বেশ, তবে আমি প্রস্থান করি।  [প্রস্থান]


ভাস্করাচার্যঃ (বাতায়নপথে নিরিক্ষন করিতে করিতে) আজ রাত্রে! আজ রাত্রেই আমাকে সেই শুভক্ষণ স্থিরিকরনের পরিকল্পনা করিতে হইবে। যে করিয়াই হউক! বাহির করিতেই হইবে সেই শুচি শুভক্ষণ আর...... (চিন্তায় ছেদ পড়ে)


লীলাবতীঃ (দ্বার পথে দণ্ডায়মানা) পিতা!


ভাস্করাচার্যঃ (স্মিত হাস্য করিয়া) এস মা লীলাবতী!


লীলাবতীঃ পিতা, আপনাকে দুচিন্তাগ্রস্থ দেখাইতেছে, আপনি কি অসুস্থ বোধ করিতেছেন? তাহা হইলে আপনি বিশ্রাম গ্রহণ করুন, আমি যাই। [প্রস্থানোদ্যত]


ভাস্করাচার্যঃ আমি সত্যই ক্লান্ত। শোন মা লীলাবতী কল্য দ্বিপ্রহরে তোমার ভাবী পতি মহেন্দ্র আসিবে , তুমি নিজে তাহার সাদর অভ্যর্থনার ভার লইবে।


লীলাবতীঃ আমি! আমি (পিতার চোখের দিকে তাকাইয়া) ঠিক আছে তাই হবে পিতা। আমি তাহলে যাই?


ভাস্করাচার্যঃ আইস। (লীলাবতীর প্রস্থান) আঃ অতীব ক্লান্তিবোধ আমাকে পাকেচক্রে জড়াইয়া ধরিতেছে। ইহাই আমার শেষ কর্ম, শেষ গণনা। না! বিশ্রামের আশু প্রয়োজন। (শয়নগৃহে গমন)


[দ্বিতীয় দৃশ্যের সমাপ্তি]