আগে যা হয়েছেঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর একজন অন্যতম ভারতীয় জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্য বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গণনা করে জানতে পারলেন তাঁর একমাত্র কন্যা লীলাবতীর বিয়ে দিলে সে অতি অল্পকালের মধ্যে পতিহারা হবে। তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর কন্যার হবু শ্বশুর অহিন্দ্রনাথকে যার প্রবল আপত্তি সত্বেও ভাস্করাচার্য বিধির নিয়ম খণ্ডন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। ভাস্করাচার্য ভাবী জামাই মহেন্দ্রকে আমন্ত্রন জানালেন। এরপর.....................  


[তৃতীয় দৃশ্যারম্ভ]

কাল- গোধুলি
দৃশ্য [লীলাবতী নিজ কক্ষে উপবিষ্ট। কক্ষটি অপরূপ-সুন্দররুপে সজ্জিত। কক্ষের দক্ষিণ বাতায়ন হইতে মৃদুমন্দ বাতাস আসিতেছে। কক্ষের একস্থানে একগুচ্ছ সুদৃশ পুস্পস্তবক গন্ধদান করিতেছে, এতৎকালে মহেন্দ্রর প্রবেশ]


মহেন্দ্রনাথঃ ক্ষমা করিবেন। প্রবেশ করিতে পারি?


লীলাবতীঃ (সংকুচিত হইয়া) আসুন আসুন আমি আপনারি তরে অপেক্ষা করিয়া আছি। অনুগ্রহ করিয়া এই কুশনে উপবেশনপুর্বক ধন্য করুন।


মহেন্দ্রঃ (আসন গ্রহণ করিয়া কিঞ্চিৎ মৌনতারক্ষা করিলেন) বোধকরি ইতোপুর্বে অবগত আছেন যে, আপনার পিতা আপনার সহিত আমার বিবাহ স্থির করিয়াছেন [লীলাবতীর অধোবদন দর্শন করিয়া] আপনার ন্যায় কন্যার পাণিগ্রহণ করা যে কোন পুরুষের স্বপ্ন! অপিচ আমি অতিশয় চিন্তিত। আমি...


লীলাবতীঃ আমি জানি আপনি কি কারন লাগিয়া চিন্তিত। পরন্তু আপনি আমার উপর আস্থা রাখিতে পারেন।