আগে যা হয়েছেঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর একজন অন্যতম ভারতীয় জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্য গণনা করে জানতে পারলেন তাঁর একমাত্র কন্যা লীলাবতীর বিয়ে দিলে সে অতি অল্পকালের মধ্যে পতিহারা হবে। তাঁর কন্যার হবু শ্বশুর অহিন্দ্রনাথকে যার প্রবল আপত্তি সত্বেও ভাস্করাচার্য বিধির নিয়ম খণ্ডন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। ভাস্করাচার্য ভাবী জামাই মহেন্দ্রকে আমন্ত্রন জানালেন। লীলাবতী আর মহেন্দ্রর কিন্তু কোন চিন্তা নেই , নেই কোন অমঙ্গলের আশঙ্কা, আজ শুধু দুটি হৃদয়ের মুখোমুখি হওয়ার দিন।এরপর.....................  



মহেন্দ্রঃ তথাপি আমি যে স্থির থাকিতে আর পারিতেছি না ভদ্রে! কল্য আপনার পিতা জানাইবেন তাঁহার সিদ্ধান্ত। কিন্তু আপনার পিতা বিধিলিপি খণ্ডন করিবেন কি উপায়ে! ইহা যে নিতান্তই অসম্ভব পরিকল্পনার পরিচায়ক।


লীলাবতীঃ (দৃঢ়স্বরে) আমার পিতা ভারতবর্ষের শ্রদ্ধেয় এবং শ্রেষ্ঠতম গণিতজ্ঞ। তাঁহার সমকক্ষ আর কেহই নাই ইহা নিশ্চয়ই অবগত আছেন?


মহেন্দ্রঃ (সচকিত) নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই।


লীলাবতীঃ সুতরাং?


মহেন্দ্রঃ ঠিক আছে। আমি আপনার পিতার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখিতেছি। (সামান্য বিরাম) জানিনা বিবাহের পরবর্তীকালে তোমাকে – (মহেন্দ্র সহসা থামিলেন)


লীলাবতীঃ ইতস্তত করিবেন না, আপনি আমাকে তুমি করিয়াই সম্বোধন করিতে পারেন।


মহেন্দ্রঃ সুখী হইলাম। তথাপি ইহা ব্যক্ত করা সম্ভব হইতেছে না যে  আমি তোমাকে সুখী করিতে পারিব কি না! আমার ক্ষুদ্র কুটিরে....


লীলাবতীঃ আমি বৃহৎ অট্টালিকা হইতে ক্ষুদ্র কুটিরে বাস সার্থক মনে করি।