আগে যা হয়েছেঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর একজন অন্যতম ভারতীয় জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্য গণনা করে জানতে পারলেন তাঁর একমাত্র কন্যা লীলাবতীর বিয়ে দিলে সে অতি অল্পকালের মধ্যে পতিহারা হবে। ভাস্করাচার্য বিধির নিয়ম খণ্ডন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। ভাস্করাচার্য ভাবী জামাই মহেন্দ্রকে আমন্ত্রন জানালেন। লীলাবতী আর মহেন্দ্রর এখন শুধু দুটি হৃদয়ের মুখোমুখি হওয়ার দিন। এদিকে গভীর গবেষণার ফল স্বরূপ আবিষ্কার করলেন বিধির বিধান খন্ডনের এক অভিনব উপায়। এরপর.....................  




লীলাবতীঃ ক্ষমা করিবেন পিতা। ইতিপুর্বে আমি আপনার গবেষণাকক্ষে অনুমতি ব্যতিরেকে তিনবার প্রবেশ করিয়াছিলাম। কিন্তু তিনবারই আপনার গভীর অধ্যাপনায় আমি ব্যাঘাত করিবার সাহস অর্জন করিতে পারি নাই পিতা। পশ্চাৎ আপনার গবেষনায় ভুলভ্রান্তি উপস্থিত হয়।


ভাস্করাচার্যঃ (অনেকক্ষণ কন্যার মুখপানে চাহিয়া) ধন্য মা তুমি ধন্য। আশীর্বাদ করি পতিগৃহে সুখী হও। (লীলাবতীর অধোবদন দেখিয়া) আইস। অদ্য আমরা পিতাপুত্রি দুইজনে একত্রে নৈশভোজন সমাধা করি। দিবাকরের উদয়াভাসে অধিক বিলম্ব নাই।


লীলাবতীঃ তাই চলুন, তবে পুর্বে আপনার আহার, তারপরে আমার [দুজনেই প্রস্থান]


(ভোজন কক্ষে ভাস্করাচার্য কুশনোপরি উপবেশন করিয়া আহার করিতেছেন, লীলাবতী পাশে দণ্ডায়মানা)


ভাস্করাচার্যঃ তুমি কিছু বলিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিতেছ, মা?


লীলাবতীঃ পিতা, আপনি কল্য যেক্ষনে আপনার ঐহলৌকিক শুভক্ষণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া করিবেন তাহা কি আমি সন্দর্শন করিতে পারি? আপনার আপত্তি থাকিলে...