(২৫০তম লিখতে বসে আজ মনটা কানায় কানায় পুর্ন হয়ে গেল। এই আসর আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, আমার আশাতিরিক্ত কিছু। এখানেই আমার প্রথম কবিতা পোস্ট। এখানেই কেউ আমাকে বলেছে নিপুন কবি, কেউবা মহামহিম, কেউ নদীর মত বহমান, কেউ বা আমাকে নিয়েই কবিতা লিখেছে পরপর, কেউ ভালবেসেছে নিজের দাদার মত। জানি সবই ভালবেসে, আমি অতটা যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি। এই আসরে সবাই আমার কাছে মহান কবি, তাঁদের পাশাপাশি লিখতে পারছি এটাই আমার পরম তৃপ্তি। সাথে এডমিনবাবুকেও শ্রদ্ধা। আমার কবিতার প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ – অনুপ্রেরণা পেতাম কি ভাবে? আবার সমালোচনা করার জন্যও ধন্যবাদ – ভুল শোধরাতাম কি ভাবে? আসলে ভালোমন্দ মিশিয়েই তো জীবন। সকলের কল্যাণ হোক)    


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ
কাটনা সাঁতার যত পারিস
জলটুকু তুই যতই নারিস
মনটা যদি হীরে, তবে শরীর জানিস কাঁচ


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ
দেহবল্লরি মিলাবে শুন্যে
খুঁজবি মনের জনঅরণ্যে
মনের হদিশ হৃদমাঝারে, শরীর ঘিরে নাচ


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ
বঁড়শি বৃথাই আছিস ফেলে
মনকে রাখিস অবহেলে
হৃদয়তলে গহীন জলে, পাবি মনের আঁচ


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ
দেহের খুশি দুইটি দিন
মনের খুশি অন্তহীন
শরীর জানবি তৃণসম, হৃদয় বিশাল গাছ


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ
পুকুর থাকলে মাছও থাকবে
মন জাগলেই শরীর জাগবে
শরীর যদি মুর্তি মানিস, মনটা তারি ছাঁচ


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ
যাচ্ছে কেটে শুন্যদিন
বুঝবি কবে রে অর্বাচিন
শরীর শরীর করিস নি রে, মন নিয়ে তুই বাঁচ


দেহটাকেই নিত্য সেবা, দেহেই খোঁজা খাঁজ
ভাতডালের এই শরীরটাতে, মনটা যে আনাজ
স্নো-পাউডার-শোভিত বাহার
শুন্য দেখি যে অন্তঃসার
শরীর কাঁপিছে হুংকার-সহ, মনটিতে নেই ঝাঁজ
অজিতেশ কহে এইবেলা শুন, ঘনিয়ে আসিছে সাঁঝ


দেহটাকে তুই পুকুর ভাবনা, মনটাকে তুই মাছ