নিজের নাম রাখি বালখিল্য বোস
জেব্রাকে ধরে দিই আগাপাস্তালা হালকা বাসন্তী রং করে
পান্তুয়া রংয়ে ধেবড়ে দিই হাওড়া ব্রীজ
বড় রাস্তা কাঁপিয়ে চলে যাওয়া ট্রামটাকেও আর কিছুতেই ট্রাম ডাকতে ইচ্ছা করে না,
ওটা বেশ বভ্রুবাহন.....হুম! বেশ মনোমত।
সব সব পাল্টে দিতে ইচ্ছা করে,
অনেকদিন সে এক এক এক ভাবে নাগরদোলা জীবন কাটালাম,
সেই এক উপর নীচ, নীচ উপর।
সেই পেশা মানে অফিস আর গেলা মানে বাড়ি।
ধুত্তেরি!
কবিতাগুলো লিখতে ইচ্ছা করে শেষ থেকে শুরু,
মরুক গে যাক, এবার ভুজঙ্গমুরারী হয়েই আকাশ দেখব।
সেই সাথে সাথে নামটাও আর আকাশ থাকবে না – হবে বিনতিয়!
দেওয়াল থেকে রবিবাবুর আবক্ষ চিত্র, খোলা জানলা পথে উড়ে যেতে যেতে মুচকি হাসে,
‘আমিও আর আজ থেকে রবীন্দ্রনাথ নই’।
ভীষণ ভাবে হাত বাড়িয়ে ধরার চেষ্টা করি, প্রাণপণে, ঐ যতটা হাত যায় আর কি!
ধরতে পারিনা, ধুৎ! নেহাতই বালখিল্য কাজ করল বুড়োটা।