চার দিনের দিন খলসি নদী ফিরিয়ে দিল তাকে
চাচিও কোথায় হারিয়ে গেল জীবন নদীর বাঁকে
গ্রামেও এখন জীবন বাঁকা, জটলা মোড়ে মোড়ে
জাতবেজাতের ফালতু কথা উড়ছে কথার তোড়ে
সবটা রুকু ঠিক বোঝে না, আবছা কথার টিকে
এক্কাদোক্কা, দাড়িয়াবান্ধা খেলার দাগও ফিকে
রুকু এখন বড্ড একা, মন খারাপের দিন
জানলা জুড়ে পর্দা ওড়ে, ভালবাসার ঋন
বুকের বাঁদিক সারাদিনই ফুলের মধু ছাড়ে
আদর পাবার দিনগুলোতে ভালবাসাই বাড়ে
রুকু তখন একটু বড়, ধরছে সবে শাড়ি
রুকু তখন নদীর দেশ, ভাটিয়ালী, জারি
রুকু তখন সুভাষচন্দ্র, মাতঙ্গিনী হাজরা
চোখের সামনে তপ্ত গুলি, মানব শরীর ঝাঁজরা
তপ্ত শরীর বাঁধ মানে না, হলুদ শাড়ি খাটো
বুকের পাখী উড়াল মারে, ভীষণ আঁটোসাঁটো
রুকুর গাঁ-ও উজাড় হল, রক্তভেজা রাত
রুকু তখন অন্ধকারে, লবণ পান্তাভাত
তক্তপোষে একলা রুকু, স্বপ্ন অলীক
মেঠোপথে বুটের আওয়াজ দারুন দাম্ভিক
রুকুর তখন ঘুম আসেনা, রুকুর ভেজা শাড়ি
রুকু তখন কাদম্বরী, সবে উনিশ ছাড়ি
চশমা চোখে, দেড়েল চিবুক, হাপর রুকুর বুকে
পলাশ টলাশ নাম হবে বা, যৎসামান্য ঝুঁকে -
নাম না জানা ফুল কুড়িয়ে রুকুর হাতে হাত
মোছলমান না হেঁদুর ঘরের! কি যে ছিল জাত!



(কাল ৩য় কিস্তি)