বরষা যখনই ভরসা দিলো, ভয়টাও দিলো তাঁর সাথে,
গুরু গম্ভীর জলদ জমিবে, সেই ভয়ে ছাতা খোল হাতে,
ছাতা, বর্ষাতি, চোগা চাপকান, যা আছে যেথায় বাগিয়ে ধর -
ঝরুক না বারি অবিরত ধারা, পড়ুক না বাজ কড়াৎকড়!
জানলার পাশে কবিতা লিখিনু, জমুক বাইরে প্রচুর জল,
জল দেখে দেখে, বেশ বোর হলে, পাড়ার মোড়েতে শপিংমল,
পচা জল টল লাগে নি কো পায়ে, ঘরের বাইরে মার্সিডিজ,
ব্রিজের তলাতে পলিথিনে মুড়ে দুধের শিশুরা কি গিজগিজ!    
বর্ষার নব ফ্যাশান আসিছে, বৃষ্টির রঙে ভিজবে মন;
বাইরের ঘরে, লাল নীল জলে, করি বরষার আয়োজন।
পাশের গলিতে দুটি চোখ বেয়ে জলের রঙেতে মিশছে জল,
বাইরে তখনো রিমঝিম সুরে বৃষ্টির ছায়া অনর্গল।
তোমার আমার মাথায় যখন নিশ্চিন্তির টুকরো ছাদ -
বাইরে তখন অঝোর ধারায় ভিজছে শিশু রবীন্দ্রনাথ।



                - বরষার আয়োজন -