জয়ন্ত আছো নাকি?
ঘড়িবারান্দার পিছনের ঝুপসি অন্ধকার থেকে উত্তর আসে – আছি তো।
ছাদে যাবার ঘোরানো সিঁড়িটার কাছে এসে ডাকি,
সুবিমল, আছো নাকি?
আছি – দেখতে পাওয়া না গেলেও হাজার হোক উত্তরটা দেয়।
ছোটমন্দিরের ঘাটে, শ্যাওলা ধরা সিঁড়ি;
যেখানে ভীষণ নিঃশব্দ ডুবে যাচ্ছে গভীর থেকে গভীরতর জলে,
আছো তো শম্ভুনাথ?
বিলীন হতে থাকা গলায় স্পস্ট উত্তর আসে – আছি ভাই।
কলেজস্ট্রীট ট্রামরাস্তায় একবার পিছনেও ডেকে নেই –
আছো কি পরাশর?
সে কোণ জানলাপথে উড়ে আসার মত – আছি হে।
প্রিন্সেপঘাটে এসেও আকাশের দিকে মুখ করে বললাম –
ভাই অনির্বান আছো কি?
- আছি তো! আছি তো! আছি তো!


সে কবে থেকেই তোমরা আছো।
তোমাদের সবাইকেই আমি চাই… এক জায়গায়।
আবার শুরু হবে,
কফি হাউস, একাডেমী, রবীন্দ্র চর্চা, কাউন্টারে সিগারেট!
কি বল?


দাঁড়াও, আমিই আসছি।