পালাতে চাইছি এক নিরুপদ্রব কৌতুহল বুকে।
কিন্তু পালাতে চাইলেও বা কোথায় পালাবো?
খানিকটা দুরে মনে হচ্ছে জঙ্গলের শেষ; নয়ত ধরে নাও খাদের শুরু।
যে মানুষকে ভেবেছিলাম নিরাপদ, পালাচ্ছি এখন তাঁদের সীমানা থেকেই।
অথচ জানি না ঠিক কতটা পালালে পৌঁছে যাওয়া যাবে;
ওপারে; কাঙ্খিত, কিছুটা কাল্পনিক সীমান্তের ওপারে।
ওরা চিনে ফেলতে পারে আমায় মানুষ বলে, অথবা,
মানুষ বলেই কি পালাচ্ছি?
ভাবিনি কোনদিন পালাতে হবে;
ভাবিনি পালানোর পথটাও খুঁজে নিতে হবে;
ভাবিনি পথটাও যাবে পাল্টে পালাবার সময়;
যদিও রক্তে মেশা ছিল নীতিগতভাবে পালানোর অভ্যেস।


জানি,
সাগর আর নারী – মিলে মিশে পালাতে থাকবে আমার ভিতরে,
একটু একটু করে ঝুরে যেতে থাকবে চিরস্থায়ী এক একটা স্বপ্ন,
আলতো চাদরে কেটে যাবে রাতের পর রাত, এমনটাই জাড়িত ছিল রক্তে।
স্বচ্ছ স্ফটিক জলের নিচে লুকিয়ে ছিল অপসারিত জলছবি,
সত্যিই ভাবা যায় নি, কবিতার বাইরেও এক চলৎশক্তিহীন রাস্তা আছে;
যে প্রতিনিয়ত অঙ্গুলিনির্দেশ করে পালাবার দিকে।
যুদ্ধে হারার ক্ষমতা রাখাটাও এক যোদ্ধার পলায়ন।


সাথে আছি, পাশে আছি বলে কণ্ঠগুলি ক্রমশঃ হারাতে থাকায়;
বাধ্য হয়েই পালাতে হচ্ছে; অবশেষে। আর;
আজ নিষিদ্ধ সীমানার দিকে পালাতে পালাতে মনে হল;
সীমান্তটা নিজেও যদি পালিয়ে যায়! দাঁড়াবো কোথায়!!