কবিতা দুর্বোধ্য হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তার পক্ষে আমার যুক্তি নেই। কিন্তু কবিতা দুর্বোধ্যকে আঘাত করে কবিতার ছবিটা সহজভাবে তুলে আনবে, এটাই কাম্য হওয়া উচিত। এটাই নান্দনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।    
এখানে কবি তাই বলেছেন।।তিনি বলেন


: ছেলেবেলায় যখন কবিতা লিখতে শুরু করি, কবিতার ভাষা, ছন্দ, মিল, বিষয়—এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা ছিল না। লিখতে ভালো লাগত তা-ই যথেষ্ট। অনেক বিষয়েই লিখেছি। পরে অনেক ভেবেচিন্তে কবিতাকেই বেছে নিলাম। আমি মানুষের মুখের ভাষার প্রেমে পড়ি। ফলে অপ্রত্যাশিত লাভ হলো। মানুষের মুখের ভাষার প্রতি প্রেম থেকে আমার কবিতা সহজ সরল হয়ে গেল।
--------
তার কথায় এক হয়ে বলব।।কবিতা হবে সহজ 'সরল প্রাণবন্ত ভাষাতে।।পাঠক দেখতেই বুঝবে।
তার মনের ভিতর একটা আবেগ কাজ করবে
এমন কবিতাই লেখা উচিত। পাঠক ভাব গম্ভীর করে একটা কবিতা পড়ল।অথচ অর্থ বুঝতে বুঝতে অবস্থা খারাপ ।সে লেখার মর্ম কি? সেটার পাঠক কে অবশ্যই বাংলা ভাষাতে উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে।।


এমনিতেই মানুষের কবিতার ভাব, রস, অর্থ বুঝতে কষ্ট হয়। তার উপর দুর্বোধ্য! ভাষা ব্যবহার করলে বা
সাধু ভাষার অতি প্রাচীন নিয়মে কবিতা লিখলে'
জনগন কবিতা বুঝবে কি?
কবিতা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে হলে অবশ্যই সহজ-প্রানময় ভাষা প্রয়োগ কবিতায় আবশ্যক।



ইদানিং ছন্দ নিয়ে অনেকেই লিখছেন। এটা সাহিত্যের জন্য সুসংবাদ। তবে কেউ কেউ ছন্দকে প্রভুজ্ঞান করে আধুনিক গদ্যকবিতার বর্তমান ধারাটিকে অস্বীকার করে বলছেন ছন্দ ছাড়া কবিতাই হয় না। এ প্রসঙ্গে শ্রদ্ধেয় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ছন্দ বিষয়ে একটি উত্তির তুলে ধরছি। তিনি বলেছেন –
“ছন্দ জানা ভালো কিন্তু এর দাসত্ব করা ভালো নয়”