ক্ষমতার দম্ভে, জনতার চাকর যখন স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে,
এবং তাদের মস্তিষ্ক যখন দেউলিয়া হয়ে পড়ে,
তখন তারা দেশতো কোন ছাড়,
পুরো বিশ্বকে পর্যন্ত ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে চায়!
কিন্তু ধাক্কাটি বিশ্বের গায়ে না লেগে,
টালমাটাল স্বৈরাচার নিজেই গিয়ে ছিটকে পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর!
আর তাতেই ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে
টুকরো টুকরো বিপদ বড় হয়ে, জাপটে ধরে তার পুরো শরীর!
এটিকে সংশোধন বা মোকাবেলা করার জন্য, যথেষ্ট বুদ্ধি না থাকলেও
বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার বুনো মিশ্রনে
স্বার্থপরতার কুৎসিতকে, আড়াল করার চেষ্টা করে দাসত্বের পর্দায়!
তার সাথে আনুগত্যের খোলা দরজা দিয়ে
স্বৈরাচারের সাফাই গাইতে,
মাঠে ময়দানে নেমে পড়ে নামী-দামী কিছু বেশ্যা!
জনতার নির্যাতন ও নিপীড়নকে ত্বরাহ্নিত করতে
শক্তিশালী তলোয়ার সরবরাহ করে যায় এসব চাঁড়াল!
তখন সীমাহীন লোভ,
সর্বনাশের উদ্দেশ্যে সর্বত্র ব্যবহৃত হতে থাকে;
বন্য বিভ্রান্তির দোলাচলে পড়ে
চরম দুর্দশা ও সঙ্কটে, জনতা খুঁজে ফেরে মুক্তির দ্বার!


তবে একথা নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেয়া যায়-
আজ যে মৃত্যুভয় উচ্চারণকে বাধা দেয়,
তা আগামীকাল উচ্চারিত হবে,
কারণ, আগামীকাল কখনও চিরন্তন গোপনীয়তা বজায় রাখে না!