বুঝতে কি পারিস ওরে তুই যে আমার ভোর,
আমার আঁধার ভরা রাত পেরিয়ে
সোনারঙে রাঙিয়ে দেওয়া ভোরের আলো তুই,  
আমার ভাঙ্গা ঘরের উঠোনটাতে –
ছড়িয়ে পড়া সুগন্ধমাখা ভোরের বকুল তুই ।
দম বন্ধ এক বন্দী জীবন আমার চার দেওয়ালের মাঝে  
হালভাঙ্গা এক ভাঙ্গা নৌকোয় -
ডুবতে থাকা জীবন আমার অতল অন্ধকারে।


তারই মাঝে একমুঠো তুই টাটকা বাতাস, খোলা হাওয়া!
আমার ছেঁড়া পালে লাগিয়ে বাতাস
ডুবতে থাকা  জীবনটাকে কে তুই ওরে  দিস আশ্বাস?
যা ভেসে তুই ওরে ও’মন  - শুনিস না বারণ,
মূছে নে চোখের জল তোর, ভুলে যা না একটুকু তুই –
এই আগোছালো হাটুভাঙ্গা বন্দি এ’জীবন!!


ওরে ভোর কি নাম তোর?
কে তুই অমন আদর করে বাড়িয়ে দিলি হাতখানি তোর,
কোমল পরশখানি দিয়ে সুগন্ধী মাখিয়ে!  
আমার পাথুরে এই জীবনে তুই আবার দিলি প্রাণ?    
কাটা ঘুড়িটা বুঝি পায় যেন এক  সোনালী আশ্বাস
দূরে ওই আবছায়াতে
যায় কি দেখা ছায়াঘেরা এক ছোট্ট আস্তানা ...
রেশমি সুতোর বোনা কি এক নরম দস্তানা?
আঁধারপথে কে তুই ওরে
জোনাকী ছড়িয়ে দিস - আলোর ঠিকানা?
আঁধার শেষে আলোর দিশা
আমার হলুদ পাখি- খোলা হাওয়া- একটুকু তুই সুখের নেশা।
বলনা রে তুই, আদুরী আমার ভোর - কি নামটি যেন তোর?
====================
অমিতাভ (৫.৩.২০১৬)