পূর্বেই আমার ধারণা জন্মেছিল
হে মানুষ..!!!!
তোমাদের মান এবং হুঁশ দুটোই যে হারানোর পথে।
তোমরা জীবিত বেহুশ,
তোমরা অন্ধকারে মৃত্যুপুরের গুহাবাসী।
যেখানে শুধু মৃত্যুই কেবল
তোমাদের বিজয়ী করতে পারে।


আর সেটা কে তোমরা বলে থাকো মৃত্যুতে পরাজয়। হিমালয় অঞ্চলের চূড়া থেকে
কেউ কেউ জয়ের স্বাদ মেটায়,
আর কেউ কেউ সে স্বাদ আহরণ করতে গিয়ে
মৃত্যু তে ঢলে পড়ে।


পৃথিবীতে স্নিগ্ধ সুন্দর  মৃত্যুই হলো
এক ভাসানো জাহাজ, পাল তোলা নৌকাও বটে।
তোমরা কেউ চাও না মৃত্যুর প্রার্থনায় নিমজ্জিত হতে।


মৃত্যু কে প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন আলিঙ্গন করা শেখা উচিত। হতেও তো পারে, আগামী সকালের সূর্য
তোমাদের মৃত্যুর শোক জানতে
উদিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
যে জাহাজ ভাসিয়ে নিয়ে যায়
হৃদয়ের কম্পিত জলস্রোতের দিকে।


দেহের রংমহল বদলায় এক অন্ধকার ঘরে।
তোমাদের কি মনে হয় না,
এই মৃত্যুসমুদ্র তোমাদের মৃতদেহ
আবিষ্কৃত করতে ভেসে উঠেছে?
আজ তোমাদের মনে নেই বলে
যতসব নরকের হৃদয় বন্দীশালায়
নিজেদের মাড়িয়ে চলেছ।


কখনো কি ভেবেছো,
প্রকৃতির বনাঞ্চল ফলাফল না জেনে
কেন ক্ষত বিক্ষত হয়ে ফুটিয়ে যায় ফুল?
যেমনটি মৃত্যুর অর্ঘ মেনে নিয়েও
গর্ববতী মায়ের প্রসব বেদনাতে ডুবিয়ে
জন্ম দেয় তার সদ্যজাত জন্মানো
সন্তানকে পৃথিবীর বুকে।
জীবন্ত দেহ হলো মায়ের সেই জন্মানো সন্তান।


হে মানুষ তোমাদের না বলে থাকতে পারছি না,
তোমরা নিজেদের বাহক বানালে এক মুখোশ কে।
এর বেশি কিছুই হতে পারলে না জীবনে।
ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের মর্যদা দিতে চাও
সে মুখোশ নামক বাহক কে।


আকাশের দিকে উঁচু বেঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে
বিরাট চিমনী গুলো,
মনে মনে ভেবে বেড়াও
উত্তাপ নির্গমন হচ্ছে সৃষ্টির হিমাগারে।
কিন্তু মৃত মর্গে বরফের হীম শীতল ঠান্ডা ধোঁয়া
তোমরা অনুভব করতে পারছো না।


বোকাদের দল
তিন হাত মাটির নিচে
অন্ধকার গুহায়  যতসব স্বর্গ নরক।
হে মানুষ গাড়ি চাকা নিশ্চয়ই চিনো,
চিনবে না কেন এইতো তোমাদের গড়া।
তোমাদের আবিষ্কারের আবিষ্কৃত চাকার তলায় নিজেদের রক্তাক্ত হতে দেখেছো।


এটা ভেবে কখনো কি খুশি হয়েছো
তোমাদের ক্ষমতার সৃষ্টির নিচে
প্রনয়ক্রীড়ায় মানুষ হত্যা হতে পারে?
এত কিছু জেনে শুনেও তোমরা তোমাদের
আবিষ্কারকের প্রতি অনন্তকাল
যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ জানাবে, তাই নয় কি?


সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব এই মানুষের
দম্ভোক্তি কে চূর্ণ বিচূর্ণ করার অপেক্ষায়
আমি রাতভোর চোখ খুলে আছি
এই অন্ধত্ব জায়গায়।
তোমার শহর নগর গুলোর
জেলখানা বিশাল অনুভূতিহীন শূণ্যতায় ভুগছে।
তোমাদের নিজ হাতে গড়া
জেলখানা থেকে মুক্তি না
পাওয়ার আসল নামই হলো কিন্তু মৃত্যুদন্ড।
*******************
( ২য় খন্ড চলমান)