শিল্পী তোমার কন্ঠে
কবে শুনব আমার কবিতাখানি?
গুনে চলেছি প্রতীক্ষার প্রহর
সেকেন্ড হয়েছে মিনিট, মিনিট হয়েছে ঘন্টা
ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে হয়েছে দিন
আর কতোদিন?  আর কতোদিন?
শিল্পী আর কতোদিন?


শিল্পী, তুমি পাঠ করতে চেয়েছ আমার কবিতা
সে খবর ছড়িয়ে গেছে বাতাসে
সে খবর পৌঁছে গেছে
জগতের প্রতিটি কর্ণকুহরের গহবরে।
শিল্পী, তুমি আবৃত্তি করবে আমার কবিতা
সেটা শোনার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে
ভোরের কুয়াশা, দুপুরের কড়কড়ে রোদ, সন্ধ্যার ঝিঁঝিঁ রা
অপেক্ষার প্রহর গুনছে রাতের তারারা, গ্রহ ও নক্ষত্রেরা।


আমার অনেক কষ্ট, অনেক অপ্রাপ্তি
তারপরও কবিতা আমার ভিতরে সুপ্ত
তারা আমাকে কখনো ছেড়ে যায়নি
কিন্ত আজ তারাও বিদ্রোহী,
তোমার কন্ঠের সুর না হয়ে তারা নাকি
আর একটা লাইনও  হবেনা।


শিল্পী তুমি কি জানো?
তোমার কন্ঠের একটি কবিতা
আমার সাধনাকে কোথায় পৌঁছে দেবে?
আমাকে কত সহস্র লেখার প্রেরনা দেবে?
আমার কাব্যজগতকে স্বর্ণকমলে সাজিয়ে
এক নব রুপায়ন দেবে।


তারপরও আমাকে প্রতীক্ষা করাবে?
তারপরও আমাকে স্থবির করে রাখবে?
বুঝেছি তুমি দাম্ভিক, তুমি অহংকারী
তুমি সৃষ্টিশীলতার কিছুই মানোনা
তুমি শুধু জানো হেয়ালীপনা
তুমি শুধু মানো খেয়ালীপনা
তুমি শুধু জানো
সৃষ্টি কে বাড়তে না দেবার জাগতিক মন্ত্রণা।


দয়া করো শিল্পী দয়া করো
তোমার কন্ঠকে আর অবগুন্ঠন কোরনা
তোমার কণ্ঠকে আর শিউলিমালার চাপা কষ্টে ভাসিওনা
তোমার কণ্ঠকে আর সৃষ্টিশীলতার বিনাশের কাজে লাগিওনা।


শিল্পী, আমার কবিতাখানির দিকে একবার তাকাও
দেখো সে কি মত্ত তোমার কন্ঠে ভেসে বেড়াবার নেশায়
সে কি পুলকিত তোমার কন্ঠে ছড়িয়ে পড়ার আশায়
সে কি বিভোর তোমার কন্ঠের মনিমালা হবার নেশায়


আর দেরী কোরনা শিল্পী, আর মোটেই দেরী কোরনা
প্রতীক্ষায় থাকলো জগতের প্রতিটি কর্ণ কুহরের গহবর
প্রতীক্ষায় থাকলাম আমি
প্রতীক্ষায় থাকলো আমার কবিতা
প্রতীক্ষায় থাকলো আমার নবতরো সৃষ্টি চেতনা।