জন্ম হতেই সুতিকাগারে শিশুটাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোল
তুমি ছেলে নও তুমি মেয়েছেলে
বাবার উৎসাহ কে যেন এক ফুঁৎকারে নিভিয়ে দিয়েছিল
বাড়িতে সেই মেয়েকে প্রতিমুহূর্তে বোঝানো হচ্ছিল
তুমি মেয়ে মেয়েদের কোন প্রশ্ন করতে নেই
মেয়েটা কেমন দমে গিয়েছিল
স্কুলে সেই মেয়ে একটু একটু করে মেয়ে হয়ে উঠছিল
একদিন একদৌড়ে মেয়েটা ছেলেটাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায়
ছেলেটা সেই হার মোটেই মেনে নেয়নি ,
কাছে এসে বলেছিল তুই মেয়ে! থাবা উঁচিয়ে ছিল
দমে যাওয়া মেয়েটা শক্তি যোগাড় করে বলেছিল কেন?


কিশোরী মেয়েটাকে প্রকৃতি বোঝাল আজ থেকে তুমি নারী
তুমি বয়ে যাওয়া নদী তুমি সর্বংসহা  
মেয়েটার চোখে সেদিন আগুন ঝরেছিল বলেছিল কেন?
একদিন গৃহশিক্ষক একলা পেয়ে কাছে ডেকেছিল
তার প্রস্তাবে সেই মেয়ে প্রতিবাদ করেছিল কেন?
তারপর থেকে ট্রামে বাসে ট্রেনে ভিড়ে মেয়েটা রুখে ওঠে কেন?
একদিন সে চরম শিক্ষা পেল নিজেকে রক্ষা করতে পারলনা
সম্ভ্রম হারায় চার যুবকের অসুর শক্তির কাছে
মেয়েটা থানায় আদালতে মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল বলেছিল কেন?
এই কেন’র উত্তর খুঁজতে খুঁজতে একদিন সেই মেয়ে
একহাতে তুলে নেয় সরস্বতী'র রুদ্রবীণার ঝঙ্কার
অন্যহাতে শত্রুর বুকে ত্রাস জাগাতে তুলে নেয় ত্রিশূল  
হয়ে ওঠে অসুরবিনাশিনী দশপ্রহরনধারিণী দুর্গা ।