একটু বাতাস
অভিমান জমাতে জমাতে একদিন ঝড় হয় ;
তখন সে সুনামির মতন দুর্দম ঠেকানো দায় ।
একটু ভয়
অন্ধকারে থাকতে থাকতে গা সওয়া হয়ে যায় ;
তখন ভয়ঙ্কর আঁধার নস্যাৎ করে পথ খুঁজে নেয় ।
একটা বালুকণা
নদীর বুকে থাকতে থাকতে চরে রূপান্তর হয় ;
তখন নদীর নাম বদলায়, দেয় নিজের পরিচয় ।
একটা বীজকণা
পাঁচিলের ফাটলে থেকে থেকে বীজপত্র মেলে দেয় ;
তখন বিস্তার তার শিকড়ে, মহীরুহ হয়ে ছায়া দেয় ।
একটা শোক
হৃদয় জ্বালাতে জ্বালাতে শ্মশানের স্তব্ধতা এনে দেয় ;
তখন আপন সন্তানের মুখ চেয়ে সবটুকু সয়ে নেয় ।
একটা সুর
মেঠো পথে চলতে চলতে তাঁর কানে গিয়ে পৌছায় ;
তখন সেই তিনি জল ফেলে জল আনতে যমুনাতে যায় ।
একটা মানুষ
ক্রমশঃ কোনঠাসা হতে হতে দেওয়ালকে পিছে পায় ;
তখন সে আর নিরীহ থাকেনা চকিতে হিংস্র হয়ে যায় ।
একটু আগুন
চকমকির ঠোকাঠুকিতে তারাবাজির ফুলকি দেখা দেয়;
সেই আগুন ছড়িয়ে ছিটিয়ে একদিন দাবানল হয়ে যায় ।
একটা না
নিমেষে চতুর্দিকে ছড়াতে ছড়াতে আগ্নেয়গিরির রূপ নেয়;
তারপর বিদ্রোহী অগ্নুৎপাতে ক্ষমতান্বেষীর মুখোমুখি দাঁড়ায় ।