জীবন নদীর মতন প্রায় বয়ে চলে
আজ এখানে কাল অন্য কোথাও;
শুরুতে উচ্ছল কলকল কলরোল
শেষের দিকে তুমি ধীরে ধীরে ধাও।


ছলাত ছলাত পাহাড় ভেঙে ঝর্ণা
কিশোরী এক মেয়ে ওড়ায় ওরনা;
পাহাড় গুহার অন্ধকার তার ঘরনা
ছন্দে ছন্দে চলে রুপালি এক বর্ণা ।


বাধ সাধলো পাহাড় ও মেয়ে যাসনা
শাল জঙ্গল বলে আয়না ফিরে আয়না ;
দুরে যাবার বেগ দিগুন বাড়িয়ে বলে  
সাগর আমায় ডাকে ঘরে থাকা যায়না ।


সেই ঝরনা মেয়ে এখন এক স্রোতস্বিনী
এগোয় সে গড়তে গড়তে গ্রাম নগর ;
খাল কেটে জল এনে জমি হলো উর্বর
সভ্যতার ঘুরল চাকা শহর থেকে বন্দর।


পুর্ণযৌবনা মেয়ে পায়ে পায়ে চলে আসে  
প্রতিক্ষিত প্রেমিকের বুকে ঝাঁপ দেবে সে ।
দিন রাত জোত্স্না ভেজা গল্পকথা বলবে  
সেই নদীটা হারিয়ে যাবে মোহানাতে মিশে।