জগন্নাথ নাম দিয়া পাঠাইলে প্রভূ মোরে এই মায়ার ভুবনে!
আমি কেমনে ধন্য হইবো প্রভু, তোর দর্শনে?
প্রভূর দর্শনে মনুষ্য করিছে আজি মূর্তির আয়োজন,
আমি কেমনে বুঝিবো প্রভূ হইয়াছে তোর আগমন?


তোকে ভাবিয়া প্রভূ মনুষ্য মূর্তিকে করিছে প্রণাম,
আজ আমি কি দর্শনে প্রভূ জপিবো তোর নাম?
শংখ বাজাইয়া উলুর ধনিতে মনুষ্য তোর নাম গায়,
আমি কি দর্শনে গাইবো তোর নাম- কি তার উপায়?


শোভাময় আলোক রশ্মি মনুষ্য ছড়িয়েছে তোর গায়,
কেমনে দর্শন করিব আজি আমি যে বড়ো অসহায়!
ঢাকুরিয়ার ঢোলে, নৃ্ত্যের তালে তোকে বরন করিছে সবাই,
আমি কি তোর অধর্মী বান্দা, নাকি অচৈতন্য দেহ পোড়া ছাঁই?


হরেক রকম সাজে মনুষ্য সাজিছে, তোকেও সাজিয়েছে মাত্রা বিহীন,
আমি কি তোর দর্শন পাইবো না প্রভূ? আমি যে এক অনাথ নেত্রহীন!


আমিও যে পেতে চাই প্রভূ তোর দর্শন,
নইলে যে প্রভূ বৃথা মোর হইবে জীবন!


কেমনে দেখিবো প্রভূ তোকে মোর নেত্রহীন জীবনে?
ভক্তিভরা আল্পনা আঁকিয়াছি হৃদয়ের দর্পণে।
নগণ্য জীবন মোর ধন্য হইল প্রভূ তোর দর্শনে,
সারা জীবন দর্শন করিব তোরে হৃদয়ের দর্পণে।।


            .............. * ..............