তুমি ঝরে পড়া গাছের নতুন গজানো পাতা
তুমি আমার ডায়েরি, কবিতার খাতা।
তুমি নিৰ্ভীক মঞ্চ কাঁপানো মহাবাণী
তুমি আমার খুব আদরের ফুলদানী।
তুমি বাগানে ফুটে থাকা সেরা ফুলটি
তুমি ঐ ছোট্ট খুকির হাসিমাখা কর্ণের দুলটি।
তুমি মানুষের মনে ঝড় তোলা এক ছবি
তুমি মুক্তির মন্ত্র বলা কবি ।
তুমি হালছাড়া ঐ তরীর মাঝি
তুমি তো মুক্তির তরে ধরেছ জীবন বাজি।
তুমি সবুজের বুকে আঁকা রক্তাক্ত লাল বৃত্ত
তুমি খোকা-খুকির আনন্দ মাতানো নৃত্য।
তুমি সোনালি শষ্যের দোল খাওয়া বাতাস
তুমি সুদূর দৃশ্যে তাকিয়ে থাকা আকাশ।
তুমি ঘুমন্তদের অতন্দ্র প্রহরী
তুমি রাখালের উন্মুক্ত সুরের বাঁশরী ।
তুমি মহাবিশ্বের মহাবিদ্রোহী বীর
তুমি দেশের কাজে সর্বদা থেকেছ অধীর।
তুমি মঞ্চ কাঁপানো সুরসৈনিক বিদ্রোহী বীর
তুমি করোনি নত উঁচু রেখেছ শির ।
তুমি ঝড়ে চুরমার করা শনশন বায়ু ত্যাজে ভরা
তুমি চমকানো বৈদ্যুতিক শক, তুমি অমর, ভয় শত্রুর
ভালোবাসার স্নিগ্ধ হাওয়ায় মিশে আছ বসুন্ধরা।
তুমি অশান্ত সমুদ্রের উর্মিমালা
তুমি জ্বালিয়েছ শত্রু বুকে বহ্নিজ্বালা ।
তুমি কল্পনিত উপন্যাসের শক্তিশালী নায়ক
তুমি স্বাধীনতা গানে নামকরা গায়ক।
তুমি নজরুলের রুদ্রকণ্ঠে বলা- শালা এ দেশ
ছাড়বি কি না বল?
না ছাড়িলে কিলের চোটে হাড় করিব জল। বলার মতো সাহসী বীর
তুমি দেশের কাজে কখনো থাকনি স্থির ।