ঝক ঝকাঝক ট্রেন চলেছে, পড়েছি কবিতায়
জানি না'তো ট্রেনে চড়তে কেমন মজা হয়।
হঠাৎ করেই আসলো সুযোগ ট্রেনে চড়বার
মিস্ যেন না করে ফেলি সুযোগ এইবার।
অবশেষে আটাশ জনে যাত্রা শুরু হল
সবার এই হাসিখুশি যেন মনটা কেড়ে নিল।
অটো করে সবে মিলে যাচ্ছি স্টেশনে
কত কথা, কত স্মৃতি গড়ছি মনে মনে।
স্মৃতির পাতায়, মনের খাতায় লিখবো কথা কত
মনের খাতায় হচ্ছে গাঁথা স্মৃতি শতশত।
ভাঙ্গা স্টেশন হতে ট্রেন চলতে করলো শুরু
আনন্দে-আনন্দে মনটা আমার করছে ধুরু.. ধুরু..।
সবে মিলে গানে গানে লাগছে মজা বেশ
এমন মজার প্রভু যদি গো, না হতো আর শেষ।
স্থিরচিত্র,ভিডিও চিত্র ফোনে রাখছে কেউ ধরে
কোনদিনই স্মৃতিগুলো কভু যায়না যেন ঝড়ে।
সবে মিলে করছি মজা, আনন্দ ভরপুর
ট্রেনের ঝনঝনাঝন শব্দ গানের হচ্ছে ম্যাচিং সুর।
জানালা দিয়ে দেখছি নানান ফসল ভরা খেত, লাগছে বেশ
খেতের শেষ কোথা হায়, নাই বুঝি এর শেষ।
রাজবাড়ি স্টেশনে থামলো ট্রেন, নামবো এবার সবে
এইখানেরি ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখবো এবার তবে।
সবার আবার লেগেছে ক্ষুধা, ক্ষেতে হবে কিছু
হোটেলে খাওয়া হলো,খেতে ইচ্ছে যার যা কিছু।
খাওয়া শেষে গেলাম ছুটে এক স্রোতস্বিনীর তীরে
স্থীরচিত্র হলো কিছু দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে।
সবিশেষে আনন্দ বেশে গেলাম জাদুঘরে
জাদুঘরের ভিতর গিয়ে মনটা গেল ভরে।
কত শত বছর আগের নিদর্শন এখানে আছে
সবকিছুই সুন্দর করে সাজানো-গোছানো আছে।
জাদুঘরে ঘুরে ঘুরে দেখা হলো সবি
জ্ঞান সমুদ্রে উঠলো যেন নতুন একটা রবি।
ঘুরেফিরে দুপুরবেলা ভোজন হলো কিছু
আনন্দ যে আর মন থেকে ছাড়ছে না পিছু।
ভোজন শেষে সবে মিলে গানের হলো লড়াই
দেখা যাবে অবশেষে কে কাকে হারাই..?
একটু পরে বাড়ির দিকে আসতে হবে ফিরে
শেষবার জাদুঘরটি দেখলাম চেয়ে একটু ধীরে।
ট্রেন চেপে আবার মোরা বসলাম সবে মিলে
আরো মজা হচ্ছে যে বাদাম খাওয়ার ছলে।
গানে গানে মাতলাম সবে গাইলাম রাশি রাশি
সবার মুখে গানের সনে বড্ড হাসাহাসি।
সন্ধ্যা নামছে ঐ আকাশে রবির কিরণ নিভে
পদ্যগানে জমলো মজা আবার মিলে সবে।
চঞ্চলতা, উৎফুল্লতা মনে লাগছে মন্দ নয়
ভালোবাসা থাকলে মনে কি আর ক্লান্ত মনে হয়..?
ঝনঝনাঝন মজার ট্রেন এবার গন্তব্যে গেল থেমে
একটু খারাপ লাগলো কারণ ট্রেন হতে যেতে হবে নেমে।
শত স্মৃতি,শত কথার ঝুড়ি হলো শেষ
সবাই সবার বাড়ি গিয়ে ভালো থাকুক বেশ।
যার উছিলায় গেলাম সেথায় হলো আনন্দ রাশি রাশি
তার তরে শত প্রার্থনা, বড্ড ভালোবাসি।