মাতৃগর্ভে আসার প্রথম রাতে ভিতু মেয়েটি বলেছিল মৃদুসুরে


-‘মা শেয়াল গুলোকে চুপ করতে বল। আমার যে ভয় ভয় করে।’


মায়ের নাড়ি আঁকড়ে মেয়েটি সারারাত জেগেছিল সেদিন


মেয়েটি ভয়ে ভয়ে জেগেছিল দশমাস দশদিন।


প্রতম আলোয় এসে ডুকরে কেঁদে বলেছিল সে, -‘এত কালো কেন আমার আকাশ ?


কেন সারা পৃথিবী ছড়িয়ে মুঠো মুঠো গুমোট দীর্ঘশ্বাস ?’


তারপর একলা পুতুল খেলায় অবেলায় বেলা বয়ে গেছে বৈরাগী গানে


পুরুষ পুরুষ স্বপ্নগুলো মাঝরাতে এসে মই দিয়ে গেছে শরীরের পাকা ধানে।


পালকের মতো হালকা হাওয়ায় ভেসেছে স্কুল কলেজের হলুদ বিকেল গুলো


সিঁদুর জীবন দিল না তো কেউ কত জন এল গেল।


এখন শরীরের রঙ দুচোখে মাখানো, দিন যাপনে গীতবিতান জেগে থাকে


যদি ভুল করে কোনও পথভোলা পথিক শরৎ মেঘে ডাকে।


আজও জীবনের বাসর ফুলদানি দিয়ে সাজাতে মেয়েটি নিজেরি পাপড়ি ছাঁটে


অনিবার্য নয় তবুও নিয়তি প্রতিদিন রাতে এক নতুন শেয়াল গরম স্বপ্ন চাটে।