তোমার দেখা মিলেছিল যবে
ভেবে মরেছি দেবী না’কি মানবী হবে!


যদি তুমি পাথরের খোদাই ভাস্বর হতে
মোর প্রেমোজোড়ে প্রাণ ফিরে পেতে।


দেবী হলে স্বর্গে করতে বাস
তোমার বাসনায় উদাসীন আমি, আরতি জপতাম বারমাস।
  
অমোঘ প্রেমোটানে মানবী রূপে আসতে হতোই মর্ত্যে
মোর প্রেমোসুধা গিলে তোমার প্রেম রথে চড়াতে ।


তোমার শানিত দৃষ্টি, হৃদয় ব্যাকুলতা
কাছে টানে, মনে নির্ভার আকুলতা।
ঘুরে মরি পথে প্রান্তরে, এপাড় ওপাড় তোলপাড় সর্বক্ষণ-
দুঃখ, তাপে ব্যথিত চিত্তে কাছে পাবো অবক্ষণ।


তুমি, জীবন্ত ফসিলের মত পৃথিবীর একমাত্র নারী-
আমি গবেষণাগারে তোমার জিন আবিষ্কারের মগ্ন,
আমি প্রেমিক, তোমার প্রেমিক, তোমার ভাবনা ভেবে কাটে বেলা সারাবেলা।


নারী তুমি- বাঁকে বাঁকে সাজানো থরথরে কবিতা, নিদারুণ প্রকৃতি
মানবী অপরূপ রূপের অধিরিনী, মর্ত্যেই তোমার বসবাস।


মোর প্রেম চির সত্য, যা তোমায় করলাম দান
বিশ্বাস রাখি মনে, স্বর্গীয় প্রেমের তুমি দেবে প্রতিদান।


নারী- রূপে বিভোর হিংসায় পরম ঊর্ধ্বশ্বাস
রেখো স্মরণে সংক্ষিপ্ত মানব জীবন, মাটিই শেষ আবাস।


শুধু কাব্য নয়, শপথ অনন্ত দিবাকরের
মোর প্রেম চির সত্য, সুন্দর। তুমি বিস্ময়!


তোমায় ভাবি নির্জনে বিজনে লোকালয় সুজনে
তোমাকে দেখি তারকালোকে ঊর্ধ্ব গগনে।


তুমি- যুদ্ধ ময়দানে যোদ্ধার কোমরে শানিত তরবারি
আমি সে তরবারির খঞ্জর, সরল খাপ।
সবার অলক্ষ্যে, লুকিয়ে রাখি তোমায়!
তুমি ছাড়া বৃথাই জীবন লুকাবো কোথায় জন্ম দায়।


তুমি বিনে বিবর্ণ সব রং মুছে যায়।
প্রবল পিয়াসে অবশ প্রাণে বাজে বিহগলের সুর
কবুও হারিয়ে যাও যদি, আমি হবো লোকাতুর।


প্রকৃতি সবার জন্য, সকলেই প্রকৃতির কাছে দায়
তুমি আমার শুধু আমার, আর কারো নয়।


ভীষণ ক্ষুধার্ত, অনাহারী, খাবারের বিনিময়
এক নজর দেখিলে তোমায় উদর পূর্তি হয়।


প্রেম- নিষ্ঠুরতার বিপরীত মোলায়েম, শুভ্র, শান্তির প্রতীক
অপার প্রেমোশক্তি কঠিন হৃদয়ে ও মমতায় জন্মে সবুজ তৃণ।


তোমার ভালবাসার ছায়ায় বেড়ে উঠা মৌন- মমতা, মায়াবী জীবন আলো।
জন্ম নিয়ে জগৎ সংসারে তোমার মতন হৃদয় নাহি যদি পাই
তব শুধুই জন্ম, এ জীবন বৃথাই!


বেঁচে থাকার একাগ্র আকাঙ্ক্ষা যেমন সত্য-
তোমাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার চেয়েও তীব্র।


বলে বলুক লোকে-
বিষের যাতনায় তুমি আমায় পুড়ে মারবে
আমি বুঝতে চাই না, জানতে চাইনা, কেমন যন্ত্রণার আগুনে জ্বালাবে!
জানি শুধু তুমি নিরুপম, অনুপম, শান্তি অবলীলা !


আমি তোমায় ভালবাসি। তোমার প্রেমোপুঁজায় যদি কিছু দিতে হয় বলী-
সে বলী দানে এ জীবন বিলিয়ে দিবো হাসি।


জানিনে আমার এই প্রেম তোমাকে কতটুকু সুখে রাখবে?
ভেবে হাহাকার হৃদয় কঁম্পোনের সুরে বাজে।


তুমি হাত বাড়ালেই, ত্যাজি ঘোড়ার মতো
এক দৌড়ে সব অসম্ভব, সম্ভব করে ফিরে আসব শতেকবার।
তুমি পাশে থাকলে, সফলতার সর্ব ধারায় পৌঁছবো অবতার।


আমরা প্রত্যেকে দ্যোতনা জীবন নয়, স্থির জীবন চাই
যদি তোমাকে পাওয়ার সুখে স্থিতিশীল জীবনে ফিরে যাই-
তবে কি আমাকে, সে জীবনটুকু দিবে না তুমি ?
তোমায় ভালোবাসার অধিকারে আমি কি একটি সুন্দর জীবন পেতে পারি না ?
অন্তত: যে জীবন কোন পতঙ্গের নয়! একান্ত মানবীয়, মানুষের জীবনগুলো।
বিশ্বাস রাখো তোমার ভালবাসা পেলে না হয় আরেক বার জন্ম নিব মানুষের মাঝে,
মানুষ হয়ে!


আমার অন্ত:চোখ তোমার সৌন্দর্য গিলেছে কবে, সে হিসাব বৃথাই
তোমাকে ভালবাসার আক্ষ্যান পরতে পরতে লোক মুখে বিবরণ
আমারে চিনেছে সবাই -
শুভ বিবেকের কাছে দিয়েছি বিচারের ভার। আরজি আমার।


দেবতার কৃপায় তুমি আজ ধন্য, খ্যাতি যশ প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ।
তোমার হয়েছে জয়, চৌদিকে কলরব
আমার হস্ত রিক্ত, মেধা দৃপ্ত, বৃথাই মস্তক।


তুমি দিয়েছো নতুন পথের সন্ধান, আমি সে পথের দিশারী
তোমার জন্য, নতুন রাজ্য করেছি পত্তন
যে রাজ্যে রাজা আমি- তুমি ভালবাসার ধন, অমূল্য রতন।
এই কথা তো মিথ্যে নয়, আঘাতের পর আঘাত সয়ে হৃদয় পাথর হয়।।


(৩/৫/২০১৩, টেকনাফ)