অন্ধকারের জঠর ছিঁড়ে পৃথিবীর আলোয়
ঝলসানো চোখে, তুই যখন প্রথম শব্দ করে কাঁদলি
আমি মধু খুঁজতে গিয়ে নুনের বৈয়াম এনে
পুরে দিলাম তোর মুখে এক চিমটি নুন!  
সেই প্রথম উপলব্ধি করলি, পৃথিবীর স্বাদ নোনতা!
তুই আমার মা, বুকের ধন, কন্যা শিশু অনা।

তোর জন্ম ক্ষণে নিবু আলোকের শুক্লা চাঁদটাও যেন  
কাঁঠালের ছায়া না পেরুতে পেরে
আটকে ছিল বাঁশবনে ঝোপের আড়ালে
পুষ্যি কুকুরটাও দৌড়ে পালালো, গন্ধ শুঁকে গেছো বাঘের অনুসন্ধান, জঙ্গলে ।
ঘর ময় ধূপায়িত গন্ধ জ্বালায়, নোনতা জলে ভরে এল দু’চোখ  
ঝিম পড়া পাড়াময় দূর কোথায় হুক্কা হুয়া চিৎকারে
শিয়ালগুলো জানান দিচ্ছে, ভাগরা বসিয়েছে ভুশুণ্ডির ভাগাড়ে              
যদিও ছিল ভাদ্রের জোছনাময় রাত তবুও
আকাশটা কেমন ঘনঘটা মেঘে ঢাকা।


আবছা আলোয় দেখেছিলাম তোর শশী মুখ, অফুটন্ত চোখ  
দেখেছি নিগূঢ় উজ্জ্বলতা।
প্রথম স্বাদের মতই তোর জন্ম ক্ষণ-
সময়টা ছিল বড় নোনতা।    
তুই আমার মা, বুকের ধন, কন্যা শিশু অনা।।   [৬/৬/১৫, কুলাউড়া]