কতকাল হাঁটছি পাশাপাশি
তোমার পথ ধরে আমি
সত্যকে বুকে নিয়ে হেঁটে যাই বন্ধুর পথ
নিছক তোমাকে ছুঁয়ে দেখবো একবার।


রাঙ্গা প্রভাতে তোমার চারুতা পাবো ভেবে
অসীমে হারিয়ে দেখি-
তোমার অগ্নীমত্তা ভিমর্রু রূপ।
তুমি শিশিরের দানার মত
আর্দ্রতায় বিলীন হতে হতে
হয়ে যাও, উনুনে বেণী মাস্তুল।


আমরা বয়ে গেলাম যে নদী
উজান গাঁও ভেসে- ক্লান্তি আর উচ্ছ্বাস
একই খাটের আদতে তোমার মর্ম জমিন ভাজ
আজও খোঁজ মেলেনি আদিমতার ইতিহাস।


আমি এতকাল ধরে সঙ্গে রেখেছি যে আয়না
তোমার অঙ্গুরিদম বীজ
শীতল সাপের ফণায়-
হয়ে যায় বরফে আচ্ছন্ন চাদর।


দেখ, অজস্র তরী বাঁধা আছে ঘাটে
পারাপারে তাড়া নেই-
তবুও যেতে হবে ওপাড়ে
কতোটুকুই বা বুঝলাম তোমাকে?
সহস্র যোজন ফাঁরাক- অথচ আমরা একসাথে হেঁটেছি এতটা পথ।


প্রবল বর্ষনমুখোর দিনে
তুমি অন্ত:বাস খুলতে খুলতে
অবিচল আঁচলে গতর মুছে আস্ফালনে বল
কী জীবন রে বাবা! আর পারছি না, নিদারুণ যন্ত্রণা!
ম্লান আমি বলি- দ্যাখো আকাশে কত মেঘ জমেছে
চাঁদটা দেখ- জ্যোৎস্নায় হলি খেলে।।  (১৯/০১/২০২২, প্রথম প্রহর)