আমার মৃত শরীর সফেদ বিছানায় শুয়িয়ে দিও না
বরং পেরেক ঠুকিয়ে তক্তপোষে পোক্ত করে আটকিয়ে দিও
যদিও সে দেহে তখনো ছোপ ছোপ দগদগে রক্তপিণ্ড
অভিমানে মিশে থাকা বহু কালের উষ্কখুষ্ক পাঁজর
তোমরা আমার কোন পছন্দই জানতে না, তাই
শোকপ্রস্তাব প্রয়োজন নেই।


না, আমার জন্য শোক নয় বরং তোমরা ফিরে যাও কাজে
আমাকে টাঙিয়ে রাখো খাড়া কাষ্ঠ প্রান্তে মাঠের ঠিক মধ্যখানে
গুঞ্জন করতে করতে লোকেরা যাবে, পাপ পূন্যের বিচার হচ্ছে, পাপী ছিল বড়।
যেনে রেখো, এই মরণ আমার শর্তহীন,  তবুও আমি মরেছি।


এই জটলাময় জলসায় কেউ কি ভালবেসেছিলে আমায়?
সবাই যখন আস্ফালনে ব্যস্ত তুমি এসে কান পেতে শোনো - আমার হৃদয়ের শূন্যতা, হাহাকার নির্বাক-ধূসর দৃষ্টি, ব্যঞ্জনা, আমার শরীরের প্রচণ্ড তৃঞ্চা, অমোঘ নিয়মের বেড়াজালের কষাঘাত আর ব্যর্থতার কথা।


যে আমাকে ভালবেসেছিলে লোকলাজ, সমাজ সংসার, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, নি স্বার্থ।
শুধু একবার ছুয়ে দেখো- কি তার সুখ, কি ছিলো বেদনা।।


তারপর সব কোলাহল থেমে গেলে কাক, চিল চিড়ে নিবে অব্যক্ত শরীর
চোখের কোটরে দৃষ্টিমনি নিভে যাবে
আপন-পিয়াসী বাসনায় নিকোটিনে জ্বলে পোড়া ঠোঁট দুটো থর থরে খসে পড়বে,
রোদে শুকবে একটি ব্যর্থতার কঙ্কাল।।