জাত ধম্মের জাঁতাকলে মানব ধর্মের নাভিশ্বাস
স্বেচ্ছাচারের জাঁতায় পড়ে সুখ শান্তি ছাড়ছে আবাস  
দন্ডীকাটা চক্করে পড়ে বিপন্নতায় ভুগছে মানুষ
চোখে মুখে আকালের ছাপ নষ্ট সময় বেহাল হুঁশ ।      


নেই পরোয়া কোন মতে গরিষ্ঠতায় পাথর ভাসে জলে  
নাদিরের বংশধর নিধনেই সিদ্ধহস্ত ছলে বলে কৌশলে    
আজ আছে কাল কী হবে এই ভাবনায় মানুষ নাকাল    
সিঁদুরে মেঘে ঝড়ের আভাস জন মানসে সামাল সামাল।


চোর ডাকাতদের কারসাজিতে অর্থনীতি গিলছে জল
বেচারামদের মিটছে না সাধ চায় লুটতে টাকার কল    
সিঁধ কাঠিতে ভরসা অগাধ কাটছে সিন্ধুক তলে তলে  
দেশভক্তির জিগির তুলে পোশাক দেখেই ঝাঁপায় জলে।


রুজি রুটির ভাবনা ছেড়ে বিভাজনে মাতে সব মাকাল
চোর ডাকাতের গুরুমশাই শয়তানি বুদ্ধি সন্ধে সকাল    
কেউ বা হেঁকে বলছে বটে দেখামাত্র চালাও গুলি  
মূল্যবৃদ্ধির ফল ঢাকতে চাই কী এখন মড়ার খুলি ?  


শিক্ষা দীক্ষায় গোবর গোলা গোমুত্রেই জীবন রেখা
রক্তশূন্য প্রাণী সম্পদে মিলছে নাকি দুধের দেখা
অ-নাগরিকের মতদানে চেয়ার পেয়ে শক্তপক্ত
নামাবলিতে মুখ লুকিয়ে শাখামৃগ হয় দেশভক্ত।  


স্বেচ্ছাচারের মজলিশে বসে বদ বুদ্ধির হাজার খেলা
অ-নাগরিকের ভোটে জিতে শিং গজাচ্ছে দুইবেলা  
শিং নাড়িয়ে বলছে শুনি ভাগো সব জলদি ভাগো  
হাত-পা থাকলেই হয় কি মানুষ ! সত্যি সত্যি বুঝি নাগো।  


সোনারপুর
২৭.১২.২০১৯