সূর্যাস্তের ক্ষণে ক্ষণে রঙে ভাসে ধরণী
বিনোদ উত্তরীয়ের বিনি-বেশে; উদাস অবনী    
সন্ধ্যাসবিতা নিঃশব্দে ছড়ায়; স্মিত হাসি রাশি রাশি  
দিগন্ত ব্যাপী সুকৌশলে আবছায়া কুহকে ভিড়ায় তরণী    
মেঠো পথ নির্বিকার; শূন্যপথের পথিকেরা ফেরে নীড়ে, ভুলে দুখ  
অনন্ত বারিধি; বালুকা বেলা; অরন্য রাজি, নিশি আঁচলে ঢাকে মুখ  
ছোট ছোট নীড়ে চঞ্চুতে উষ্ণতা খুঁজে; ক্লান্তি শেষে খোঁজে সুখ  
অযুত রজত কণা আপন শরীরে ধরে;  নিঃসীম জলরাশি  
একা জাগে কুলে কুলে কল কল ঐক্যতানে; বিলায়ে অবিরাম হাসি  
বয়ে চলে অজানার বাঁকে বাঁকে, আশা কলসে ভরি আগামীর খুশি    
আদিপ্রাণ করে ফিসফাস; উচ্চশিরে,  ছায়াচ্ছন্ন আকাশে বৃষ্টি খুঁজি
শিকড়ের কথা শুনে যদি নামে বৃষ্টি, মৌনী মাটির স্বস্তি ফিরবে বুঝি      
বিন্দুসম প্রদীপ শিখা দূর হতে হাসে, আঁধার আবেগে ভাসি
চৌকাঠ পেরোনো বাতাসে দুরু দুরু বুকে হয়ে স্থিতধী    
কহে ; ধৈর্য ধর, নতুন আলোয় জাগিবে প্রাণ, পাবে মুক্তি
কাল চক্রের পরিক্রমায়, কিছুই নহে চিরস্থায়ী।।    


সোনারপুর
২৮.০৪.২০১৯