মাতাপিতা বটবৃক্ষের মত ছায়া দেয় যতদিন,
কষ্ট পাই না মনে রাখতে তাঁদের সকল ঋণ।
অনাথ শিশু বড় হয়, থাকে শূণ্য চারিধার,
ঠেকে শেখে চলতে পথে, পায়না ওপার।
ছায়া যবে সরে যায় রুক্ষ হয় মন,
স্বার্থপর হয়ে যায় আদরের সন্তান।


যারা দেখে শেখে, পড়ে শেখে,
                             তাঁদের সহজ হয় চলা;
ওই স্রোতের বেগে চলে তাঁরা,
                       অনবদ্য তাঁদের সৃষ্টি কলা।


ওকালতি, ডাক্তারি, সমাজ সেবা,
ধন্য মানি করছে যেবা ব্যক্তিস্বার্থের তরে;
জনগণের চোখে দিয়ে ধুলো,
সাধুর বেসে কেমন করে ওরা পকেটে ভরে?


পিতা-মাতার সকল ঋণ ওরা যায় ভুলে,
স্রষ্টা স্রষ্টি পর হয়ে যায়, কেমনে জগৎ চলে?
মাতাপিতা বোঝা হয় যে সন্তানের কাছে,
সন্তানের সন্তান ঠিক তেমনি করে বাঁচে।


যেমন দেবে তেমন পাবে সেই কথাটা ভাবো,
আলোর মধ্যে আঁধার এলে হয়না কভু ভালো।
সন্তান বড় আদরের ধন, জুড়ে থাকে মা-বাবার মন,
তারাই যদি পর হয়ে যায়, কেমনে বাঁচে তাঁদের প্রাণ?


১ লা অগ্রহায়ণ, ১৪২৭,
ইং  ১৭/১১/২০২০,
মঙ্গলবার বেলা ৯:৪৫। ১১৯৭, ২১/১১/২০২০।