স্রষ্টা যদি একই হয়, তবে ধর্মে ধর্মে বিভেদ কেন? আর হিংসা দ্বেষে ভরে গেল, জগতটা ছিল না হেন। করোনা মিলায় দিল মানুষে মানুষে রাষ্ট্রের সীমানা ভেঙ্গে। আল্লাহ, ভগবান, গডে  পার্থক্য কোথায়? জানতে ইচ্ছা হয়। আমার মেয়ে তোমার বোন নয়? না হিন্দু বলে সে জুলবে বিদ্বেষের আগুনে। মুসলিম ভাইয়ের ছেলে তুমি তাই আমি হিন্দু তোমার বিপদে দেবো না আশ্রয়? খিষ্টান বলে পুড়িয়ে মারল সপরিবারে হিন্দু মৌলবাদ, বলবোনা উচ্চঃস্বরে বিদায় নিক এই আপদ। সাতষট্টি টা বসন্ত পেরিয়ে অস্ত বেলায় দাঁড়িয়ে একবার বলব না? চাইনা কোন ধর্ম চাইনা মন্দির মসজিদ গির্জা। শুধু চাই মানুষে মানুষে প্রেম প্রীতির বাঁধন। দুদিনের জন্য এসেছি ধরায় তারপর যাব চলে। কোথায় রবে ধর্ম আর আমাদের এই হিংসা বিদ্বেষ সব? ফকির, সুফি, আর মহাপ্রাণ মানুষেরা সে কথাই বলে। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বিবেকানন্দের গুরু মানতো না ধর্মে ধর্মে বিভেদ তাই তিনি হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলিম হলেন, মুসলিম ধর্মের পরে খ্রিস্টান, দেখলেন খুঁজে কোথায় ভগবান? মহাকবি কালিদাস বলেছিলেন-"শোনো হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মনুষ্যত্ব তাহার উপরে নাই"। আমার বিশ্বাস কবি-বন্ধুরা সত্যের পথে চলে মিথ্যাকে ত্যাগ করে। কবিরা দেখায় পথ ভবিষ্যতকে। তাই আমি নিজেকে মানুষ ছাড়া আর ধর্ম মানবতা ছাড়া আর কিছুতে বিশ্বাস করিনা। আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম যদি মায়ের কোলে জীবনটা দিয়ে আসতে পারতাম তাহলে আজ এই দুঃখ থাকতো না। জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী। মা এবং মাতৃভূমি ছেড়ে আজ বিভুঁই বিদেশে পড়ে আছি। শুধু বলবো মানুষের আসুক চেতনা মনুষ্যত্ব আর মানবতা নিয়ে। তবেই একদিন এই পৃথিবীটা হবে শান্তি এবং সুখের। ভালো থেকো তোমরা সবাই, ওহে মানবতার বাহক মানুষ ভাই।


১৬ ই বৈশাখ, ১৪২৭,
ইং ২৯/০৪/২০২০,
বুধবার বিকেল ৫টা। ১০০৪, ১২/০৫/২০২০।