তোমার সুদূর সুন্দর আমাকে বিচলিত করে
এসো আমরা বাহুবন্ধি হই অরব গ্রথিত অরণ্যে।
আর কতোকাল নিঃশ্বাসের ভিতর খুঁজবো জঞ্জাল?
উভচর আমি নই, মৃত হলে চিহ্নহীন তা জেনেও
আমি কী তবে লুকাবো? ভয় পাবো অথবা নির্বাসন?
আজীবন ভীতরে বাহিরে বয়ে যাবো খড়ি মাটির জীবন?
তোমার হাতের ছোঁয়া বৈদগ্ধ ঔষধি যৌবন পেলবতা।
আমি যতই অন্ধ হই, বেকুব কিংবা সমাজ পরিত্যাজ্য;
ভেবনা এ আমার ছল; হারিয়েছি দু কূল সারল্য সংহার,
তার চেয়ে বরং তোমার হেসে উড়িয়ে দেওয়া প্রশ্রয়
আমাকে বিচলিত করে আর তোমার নিশ্চুপতা;
আমার ভয়ানক হিমেল পরবাসী নৈঃশব্দ্য জীবন।
                  
প্রাঞ্জল বৈদূর্য দিয়ে আমি সাজাবো কী তোমাকে ছাড়া?
আকাশের ঘর নেই তবুও শব্দের ঘরে বৃষ্টি নেমে আসা
এক একটি বিকেল আমার সুপ্রিয় অভিমান আঙিনার মতোই।
তোমার চারপাশের দমিত জোৎস্না আঁধার নীলাদ্রি গহন
আমার শরীরী অবগাহন চিরকাল তারই হেঁয়ালি কাঙ্গাল।
আমার বৈরাগ্য নিঃশ্বাস অথবা অতল ডুবুরি আবাস,
আমার ভ্রমন্ত দিকহীন; ভাবনার এমন অভিলাষ;
নিষুপ্ত বিলাসেও জেগে থাকে আকাঙ্খার করতল।


তোমার সুদূর সুন্দর অবগুণ্ঠিত অদৃশ্য বিচরণ
ঘোর অমানিশার মতো কতো আর থাকবে বিরহে বেভুল,
বেলাশেষে শেষ বিসৃত চরণ এগুলেও নিঃশব্দে বলি
আমি লুণ্ঠিত; আজীবন তৃষ্ণার্ত তোমারই ব্যাকুল।