ভারত জুড়ে উঠলো রে এক
নতুন জাগরণ,
হিন্দু ছাড়া অন্য কারো ছাড় নাই
আর এখন।


মোড়ে মোড়ে হাট-বাজারে
করছে রে বরণ,
বেধে খুটিয় চিপে টুটি
করুণো মরণ; বলে_
                    জয়-শ্রী-রাম!


শ্রীমদ্ভাগবতের বিশেষ বার্তা-
অচিন্ত ভগবান সর্বত্র আছেন।
তিনি জীবের কল্যাণে আসেন অবতার রূপে।
সন্তানদের কাছে ডাকেন-ভালবাসেন আর রক্ষা করেন সকল বিপদ থেকে।


তাবরেজ আনসারী!
হ্যা, চব্বিশ বছর বয়সী ঝাড়খন্ডের সেই যুবক।
কেবল মুসলিম হওয়ার অপরাধে, যাকে আঠারো ঘন্টা ধরে; খুটিতে বেধে প্রহার করা হয়।
বাধ্য করা হয় উচ্চারণ করতে কিন্তু তাতে ও তার শেষ রক্ষে হয়নি,
যদিও সে করুণ আর্তনাদে উচ্চারণ করেছিলো_
                 জয়-শ্রী-রাম!


ভগবান শ্রীরামের বলেন;
অনুকম্পা-দয়া-ক্ষমা এবং মানবতার মত বড় গুণ আর কিছু নেই।


আর গো-রক্ষক সেনারা পশ্চিমবঙ্গের আরফাজুলকে রজস্থানে কুপিয়ে হত্যার পর; গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে বলে_
                জয়-শ্রী-রাম!


রামের বাণী;
শেকড় হীন বৃক্ষ যেমন দ্রুতই নির্জীব হয়ে পড়ে,
ঠিক তেমনি নিরীহের উপর অত্যাচারি, শত শক্তিশালী হলেও তার স-মূলে পতন ঘটে।


চলতি সপ্তাহে মুসলিম যুবককে হত্যার পর আবারো নির্যাতন করা হয় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে।
       গুরুগ্রামে এক নিরীহ মুসলিম পরিবারের উপর, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় মেতে ওঠে চল্লিশ জনের একটি বেপরোয়া হিন্দু দল।


সেদিন বাংলাদেশী অপবাদ দিয়ে আসামে এক ব্যবসায়ী ওসমান আলীর উপর আচমকা হামলা করে বসে গো- রক্ষক দল,
তাকে কাঁদায় ফেলে যাচ্ছে তাই অপমান করে আর
স্লোগান হাকায়_
             জয়-শ্রী-রাম!


শ্রীরাম বলেন,
অতি গর্জনকারী মেঘ কদাচিৎ-ই বর্ষে,
প্রকৃত বীর অকারণে বাক্য ব্যয় করে না।


খোদ রাজধানী দিল্লির মেট্রোরেলে সেদিন  ষাটোর্ধ বৃদ্ধ মুসলিম বলে তাকে সংরক্ষিত আসনে বসতে না দিয়ে, এক যুবক তাকে পাকিস্তান চলে যাওয়ার তাগিদ দেয়।


মুম্বাই গামী মুসলিম টেক্সি চালক ফয়সালকে বেধড়ক করে একদল মদ্যপ রাম ভক্ত।
আর স্লোগান দিতে বলে_
                      জয়-শ্রী-রাম!


ষোল বছরের শিশু জুনাইদকে হরিয়ানায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়, কেবল গো-মাংস বহন করছে এই সন্দেহে!


কলকাতায় দুই যুবককে মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছে কট্টোর হিন্দুবাদীরা।
তাদের অপরাধ, তারা বলতে রাজী হয়নি_
           জয় শ্রী-রাম!


রাম বলেন,
প্রতিশোধ কখনো ধর্ম হতে পারে না,
প্রতিশোধ হল অধার্মিকের ধর্ম।


মালদহে মানিকচক থানার দরিদ্র পরিবারের ক্যান্সার আক্রান্ত এক হিন্দু যুবক; বিশ্বজিৎ।
তার মৃত্যুর পর, সব হিন্দু প্রতিবেশীরা যখন চোখের দেখা দেখে দায় সেরেছে,
কোন পথ না পেয়ে তার মা আর দাদা; যখন মাটিতে ঠায় বসে পড়েছে,
তখন আরাসেফ আলী আর আব্দুল খালেক সহ অন্য মুসলিমরাই তার দায়িত্ব কাধে তুলে নেয়।
আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শশানে নিয়ে তার সৎকার সম্পন্ন করে।


ভারত জুড়ে উঠবেরে এক
নব জাগরণ,
এই মুলকের সব ধর্ম
এক হবে যখন।


মোড়ে মোড়ে হাট-বাজারে
উঠবে আলোড়ন,
সব ধর্মের সম্প্রীতিটাই
থাকবে আজীবন।


ভগবান জীবের কল্যাণে অবতার রূপে আসেন।
তার সন্তানদের কাছে ডাকেন-ভালবাসেন এবং রক্ষা করেন সকল বিপদ থেকে।


শ্রীরাম বলেন_
চন্দ্র তার সৌন্দর্য হারাতে পারে, হিমবন বরফ শূণ্য হতে পারে, সমুদ্র বিরান হতে পারে কিন্তু রাম কখনো প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হতে পারে না।


অতএব, জীবের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে, মনুষ্যত্বের বিজয়ে তিনি কি আসবেন না?


বলো_
              জয়-শ্রী-রাম!