ইশকুলIshkul

একটি সমসাময়িক এবং আবৃত্তি যোগ্য কাব্যগ্রন্থ, বইটি দুইটি অংশে বিভক্ত। এর একটি অংশ ছোটদের উদ্দেশ্যে এবং ওপর অংশ বড়দের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে।

একথা এটি ছোট-বড় সকলের জন্য উপযোগী।

দু’টি কথা
অনেক প্রতীক্ষার পর কাব্যগ্রন্থ ‘ইশকুল’ প্রকাশ করতে পেরে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে
হাজার শুকরিয়া আদায় করছি এবং বিশ্ব শান্তির বার্তাবাহক রাসুল মোহাম্মাদ (সঃ)
- এর
প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করছি ।
শুদ্ধ সাহিত্য চর্চা ও দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে কবিতা হতে পারে এক অন্যতম
উপাদান। ক্সবষম্যমুক্ত সমাজ ও আলোকিত মানুষ ক্সতরীতে কবিতার কার্যকর উপস্থিতি
আশাব্যঞ্জক। সমাজের সঠিক কাঠামো বিনির্মাণে ও সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে
এক একটি কবিতা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স¦াধীনতা সংগ্রামে স¦াধীনতাকামী
বাঙালিদের উৎসাহ ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেছিল কিছু কবিতা ও গান। বিভিন্ন আন্দোলন
সংগ্রামে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত ও প্রেরণা যোগাতে এমনকি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে
কবিতার ভূমিকা বহু প্রাচীন।
কবিতায় কল্পনার বহিঃপ্রকাশ, বিবেক বুদ্ধিদীপ্ত ভাবনা ও বিবেকের তাড়নায় সঠিক শব্দের
প্রয়োগ এবং নান্দনিকভাবে সফলতার সাথে উপস্থাপন বা প্রকাশ করতে পারলেই একটি
কবিতা ভালো কবিতা হয়ে পাঠকের মনে দোলা দেয়।
কবিতা মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে শেখায়।
মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে সহযোগিতা করে একটি ভালো কবিতা। ভাত
-মাছ যেমন
দেহের চাহিদা মেটায়, তেমনি কবিতা বা সাহিত্য মানুষের মনের খোরাক যোগায়। কবিতা
পাঠককে ভাবুক ও মানসিক পরিতৃপ্তি প্রদান করে।
পরিশেষে, গ্রন্থটি প্রকাশে যারা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সকল গুণীজন ও শুভার্থীকে কৃতজ্ঞতার
চাদরে আবৃত করলাম।
দেশে দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ, জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ধর্মীয় উগ্রবাদীতার কারণে পৃথিবীটা দিন দিন
আরো নির্মম ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। জনগণের মধ্যে সহিষ্ণুতা কমে যাচ্ছে।
পারস্পরিক হিংসা, বিদ্বেষ বেড়ে যাচ্ছে। বিশ^াস ও শ্রদ্ধার জায়গাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
মানবিক মূল্যবোধের চরম স্খলন, মাদকের করাল গ্রাস, দুর্নীতির মতো ব্যাধি সমাজকে
দূষিত করছে প্রতিনিয়ত। মানুষের প্রতি মানুষের নির্মমতা ও সহিংস আচরণ ক্রমশ বেড়েই
চলেছে। শিক্ষিত ও গুণীজনদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে না পারলে সমাজে
পরিবর্তন আসবে না।
আর ওইসব মাথায় রেখেই রচিত হলো কাব্যগ্রন্থ ‘ইশকুল’। গ্রন্থের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে
কিছু শিশুতোষ ছড়া/কবিতা। কবিতাগুলো সামান্যতম হলেও যদি পাঠক
হৃদয় আলোড়িত
করতে পারে, তবে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস সার্থক হবে বলে মনে করছি। যেকোন ভুলত্রæটি
মার্জনীয় এবং মূল্যবান পরামর্শ জানতে পারলে উপকৃত হবো। বিশে^র সকল মানুষের সুখ
ও শান্তি কামনা করছি। মেহনতি মানুষের জয় হোক। মানবতায় বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
-নিবেদনে

(আহমেদ মুনির; প্রকাশক)

উৎসর্গ-
সম্প্রতি সহপাঠীদের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী
আবরার ফাহাদকে।