দিন ও রাত্রি, জীবন আর মৃত্যু-
বয়ে চলেছে কালের অমোঘ যাত্রাপথে..
চেতন-অচেতন-অবচেতন, সব কেমন
একাকার হয়ে যায় অমাবস্যার দীপান্বিতা রাতে
মহাঘনঘোর মৃত্যুর উল্লাসে বিষণ্ণ প্রহেলিকায়
নিকষ আঁধারে পথ হারিয়ে ডানা ঝাপ্টায় পেঁচা
বাদুড়ের গা ছুঁয়ে চলে যায় হাউইয়ের স্ফুলিঙ্গ
অদূরেই বারোয়ারি আয়োজনে শক্তির আরাধনা,
প্রলয়রূপিণী মুণ্ডমালিনী মা কালীর সাধনা ভজনা।
চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি যাঁর ত্রিনেত্র
তিনি রহস্যময়ী দেবী মা কালিকা
অনন্ত আঁধার, অন্তহীন সেই রাত্রির নাম শ্যামা
যাঁর অন্তরে সদা জায়মান চিরন্তন জ্যোতির উদ্ভাস!
জীবনভর যারা বাঁচে আর মরে, মরতে মরতে বাঁচে,
জীবন ফুরিয়ে আসে, মৃত্যুর ঘা শুকোয় না তবু;
মাতৃরূপা হয়ে মা গো, – এসো তুমি তাদের পাশে।
মহামহিম অস্তিত্বের এপার-ওপার জুড়ে দিয়ে
এই ডানা ভাঙা গণতন্ত্রী স্বাধীন নামক ঘুমন্ত দেশে
তুমি সর্বদা বিরাজ করো, বিরাজ করো মা গো-
মঙ্গল করো, মঙ্গল করো মা গো সবাকার...!


টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল : ২৬|১০|২০২২