রক্ত-কুসুমিত পলাশ ফুটিয়ে বসন্ত ঠিক আসে।
কোকিলও আসে, তার নিজের খেয়ালে,
দু'বেলা কুহু ডাক দিয়ে যায় প্রতিদিন।
বাঁশির সুর ভেবে কেউ ছুটে মরে রাধিকার মত,
কী এক মায়ায় খুঁজে ফেরে স্বপ্ন-প্রেম;
কত জন্ম এভাবেই পার হয়ে যায়..
কিন্তু, দেখা নেই সেই প্রেমিক ছেলেটার,
যার কোমরে বাঁশি, আর মাথায় ময়ুরপুচ্ছ বাঁধা!
আজও কি রাধিকারা বুকের অতল থেকে
সেঁচে আনে সুর?
অনেক কালের সঞ্চিত মরমিয়া সেই কানুপ্রেম সুর!
যে বাতাস ছিল, কদমের শাখা-প্রশাখায় খেত দোল,
সেই বাতাসে, যমুনার স্রোতে
নিবিড় আড়ালে থেকে, বয়ে যাচ্ছে---
কত মাথুর, মানভঞ্জন, পূর্বরাগ, অনুরাগ, অভিসার..
কুল-কুল ভেসে যাচ্ছে মোহনবাঁশির সুর;
ভেসে যাচ্ছে উত্তরাধিকার..!